পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দেশের মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে রেলের মালামাল ও যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে ২৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ প্রকল্পের কাজ শেষ।
ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে নবনির্মিত রেলওয়ে স্টেশনের নাম ‘রূপপুর’ নামকরণ করা হয়েছে।
এখন শুধুই অপেক্ষার পালা, উদ্বোধনের প্রহর গুনছে ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রেললাইন প্রকল্পটি। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করতে ব্যস্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরাসরি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ওইদিন লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্প, কমলাপুর থেকে টঙ্গি পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্পটিও উদ্বোধন করবেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী, ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুল হক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল ছাড়াও অল্প খরচে- স্বল্প সময়ে, এ অঞ্চলের মানুষ পণ্যবাহী ট্রেনে সহজে মালপত্র আনা নেওয়া করতে পারবে। এতে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন আসবে, জাগরিত হবে ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল জানান, উদ্বোধনের পর এ প্রকল্পটি পরিপূর্ণ সক্ষমতায় আসলে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে যোগ করবে এক নতুন মাত্রা। ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেলপথে এ প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর প্রকল্প কেন্দ্রে সহজে শুধু মালামাল-যন্ত্রপাতি পৌঁছান না, ঈশ্বরদী-রূপপুর এলাকায় পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে এ অঞ্চলে তথা উত্তর জনপদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন আসবে। স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে এ অঞ্চলের মানুষ পণ্যবাহী ট্রেনে করে সহজে মালপত্র আনা নেওয়া করতে পারবে। এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য করা মানুষদের।
ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুল হক জানান, বর্তমান রেলবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়ের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন।