বৈরী আবহাওয়ায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ট্রেন এক ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলাচল করছে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে যাত্রীদের নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
টানা শৈত্য প্রবাহে উত্তরাঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমিয়েছে ট্রেনে। ফলে ট্রেন গন্তব্য পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন।
সময়সূচি অনুযায়ী এ ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি ১০টা ৩৫ মিনিটে। সকাল ১১টায় যাত্রীরা কনকনে বাতাসে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন মাস্টার মো. তৌহিদ জানান, ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী স্টেশনে ১২টা ৫০ মিনিটে যাত্রাবিরতি থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে ২টা ১০ মিনিটে স্টেশনে প্রবেশ করে। খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ৪৫ মিনিট, খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন এক ঘণ্টা ৫০ মিনিট, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট, মহানন্দ ৩০ মিনিট দেরিতে স্টেশনে এসেছে। সাগরদাঁড়ি, মধুমতি, বেনাপোলসহ কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার। ঘন কুয়াশার কারণে বেশি দুরত্বে চলাচলকারী ট্রেনগুলো কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
গত ২ জানুয়ারি সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ৮ ঘণ্টা বিলম্ব ছিল। ট্রেনে বিলম্বে চলাচল অনেকটা কমে এসেছে। কুয়াশা কমে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।