হাসান মাহামুদ : কালেক্টরিয়ান-23 ঘুপচিং, U R Rocking!
পেশাগত কাজে রাস্তাতেই কাটে বেশির ভাগ Time। তাই Lots of ঘটনার সাক্ষী হতে পারি সৌভাগ্যবশত। Yesterday দুপুরে তেমনি এক ঘটনা দেখে প্রানটা জুড়িয়ে গেলো। Camera হাতেই ছিল তাই কিছু দৃশ্য আপনাদের জন্য Capture করতে পারলাম।
আশা করি স্নেহের Bro দের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষক মন্ডলীদেরও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে, Like Me.
প্রথমত,
এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা মেলা ভার। ফটোগ্রাফার রিক্সায় উল্টো হয়ে ঘুরে ছবি তুলছে। আর শিক্ষার্থীরা কেউ রিক্সায়, কেউ বাইকে, কেউ বা আবার গাড়িতে। রিক্সা ও বাইকের সাথে পাল্লা দিয়ে গাড়ির জানালা থেকে বাইরে বের হওয়ার এমন দৃশ্য সত্যিই বিরল। তারপর আবার তিন জানালা দিয়ে ৪/৫ জন করে। চলন্ত গাড়িতে চলছে সেলফি। পারলে যেন চালকের আসন থেকেও বের হয়ে যেত একজন। এমন সাহসীকতার উদাহরন আর কেউ দেখিয়েছে কখনো ? Oh Bro, its really amazing.
দ্বিতীয়ত,
ওরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দ্যম। যা আমার কাছে সত্যিই Nice লেগেছে। স্কুলের শাসন-ত্রাসন, সংহার এমন কি জেলা প্রশাসকের বিধিনিষেধ-ভয় কোনো কিছুই ওদের দমাতে পারে নাই। কারন, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ তো রীতিমত জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রনেই চলে।
তৃতীয়ত,
ওরা এই বয়সেই যা দেখালো সেটার জন্য কি বাহবা পাওয়া উচিৎ নয়? ওরা কি বিদ্রোহী নয় ? আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতা লিখেছিলেন তার ২২ বছর বয়সে। আর এরা তো অনুর্ধ ১৬ তেই তা করে দেখিয়ে দিলো।
কবি তো বলেছিলেন মাত্র!
“আমি দুর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!”
চতুর্থত,
স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের নাম ছিল RAG DAY. আর ২০২৩ ব্যাচের নাম তারা দিয়েছে “ঘুপচিং-২৩”। খাঁটি বাংলা একটি শব্দ বটে। তবে ঘুপচিং এর সরাসরি কোনো অর্থ খুঁজে পেলাম না।
অভিধান ঘেটে ঘুপচি শব্দের অর্থ পেলাম- নির্জন আশ্রয়, কুলুঙ্গি, কোণা, কোণ, নিরিবিলি জায়গা,ঘুপসি;
ঘুপসি , ঘুপচি এর অর্থ → [ঘুপ্শি, ঘুপচি] (বিশেষণ) অন্ধকারাচ্ছন্ন ও সংকীর্ণ; ঘোপের মতো বদ্ধ ও অপরিসর □ (বিশেষ্য) ১. অন্ধকারময় সংকীর্ণ স্থান। ২. গুটিসুটি; জড়সড় (ঘুপসি মেরে বসা)। {(তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ) √গুপ্>ঘুপ্+সি};
তার মানে ধারনা করলাম বিশেষণের সাথে ing যোগ করে ঘুপচি+ing=ঘুপচিং। মানেটা এখনো ঠিক বোধগম্য নয়। আর এখানেই ওরা সফল। আমার মত একজন Easy কাজে Busy থাকা মানুষ গতকাল থেকে এটা নিয়েই চিন্তিত।
পঞ্চমত,
ওরাও একদিন বড় হবে। এদের মধ্যে অনেকে হয়তো বিচারক, ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এমনকি রাজনীতিবিদও হবেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করা এই ছেলেরাই হয়তো তখন নিয়ম শিক্ষা দিবেন। তবে আর যাই হোক, কেউ যেনো আমার মত ফটোসাংবাদিক হইয়ো না। তাহলে কিন্তু প্রচ্চুর প্রচুর গালি শুনতে হবে জীবনে।
দোয়া করি তোমরা অনেক বড় হও Bro। তার আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হও, উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করো, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্টে পড়াশোনা করো অথবা গোল্লায় যাও। দেশের বিপদে-আপদে, দেশ গঠনে সবার আগে তোমরাই ছুটে এসো, এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।
আপাতত তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য শুভকামনা Bro !
