জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় পতাকা অর্ধনিমিত, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাচ ধারণের মধ্যে দিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪১তম মৃত্যু বার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠন।
ঈশ্বরদী শহরের রেলগেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে আজ সোমবার (৩০ মে) সকালে এই অনুষ্টান উদ্বোধন করা হয়। পরে বিশাল মৌন মিছিল বের করে নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শ্রমিক নেতা আহসান হাবিবের সভাপত্বিতে ও পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামসুদ্দোহা পিপ্পুর পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এস এম ফজলুর রহমান, বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন, হাজী সুমার খান, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, বিএনপির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ নুরুল ইসলাম, হাসান আলী, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল, সদস্য সচিব একেএম সাজেদুজ্জামান জিতু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মাহামুদুল হাসান সোনামনি, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুনুর রশীদ নান্টু, যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান কল্লোল, ছাত্রদলে নেতা সাগর হোসেন রনি, মাহামুদুল ইসলাম শাওন, নাজমুল হাসান রিসাদ প্রমূখ।
এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
আজ সোমবার (৩০ মে) বিকালে শহরের বাবুপাড়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব অডিটোরিয়ামে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শ্রমিক নেতা আহসান হাবিবের সভাপত্বিতে ও পৌর বিএনপির পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শামসুদ্দোহা পিপ্পুর পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এস এম ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপি নেতা হাজী সুমার খান।
বিএনপির নেতারা বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক ও জাতিসত্তার স্রষ্টা । বাংলাদেশের দুটি ক্রান্তিলগ্নে ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন ক্ষণজন্মা এই রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ এর কাল রাত্রিতে যখন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা আত্মসমর্পণ কিংবা পালিয়ে গেলেন তখন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে একজন অখ্যাত মেজর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়ার এই ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের তূর্য ধ্বনি। ঠিক তেমনি যখন বাকশাল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিল তখন ও সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর মাধ্যমে দেশ রক্ষায় আরেকবার আবির্ভূত হয়েছিলেন শহীদ জিয়া । আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সকল জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিকে রাজপথেই বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
মওলানা মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষে তোবারক বিতরণ করা হয়।