প্রতিক্রিয়া|
প্রতীক পেয়ে তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করছেন নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ। ছবি : আমাদের ঈশ্বরদী
পাবনা–৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা প্রতীক পেলেন গালিবুর রহমান শরীফ। আজ সোমবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁকেসহ এই আসনের অন্যান্য প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রতীক পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গালিব জানিয়েছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রে বেশিসংখ্যক ভোটার উপস্থিত করাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা–৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন পাঁচজন। তাঁরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র হিসাবে পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির রেজউল করিম খোকন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনছুর রহমান ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আতাউর হাসান।
স্থানীয় রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা বলছেন, তাঁদের কেউই আওয়ামী লীগ বা গালিবুর রহমান শরীফের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য তিনটি দলই সাধারণ ভোটারের কাছে নতুন। তা ছাড়া এসব দল থেকে যাঁরা প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁরাও তেমন একটা জনপ্রিয় নন।
প্রতীক বরাদ্দ|
পাবনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেলেন গালিবুর রহমান শরীফ। ১৮ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পাবনা। ছবি : আমাদের ঈশ্বরদী
গালিবুর রহমান শরীফ অবশ্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের যোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছেন। আজ পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে পাঁচজন প্রার্থী আছেন। তাঁরা সবাই যোগ্য। ভোটাররা যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁরই নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে এখানে। আমাদের সবারই চেষ্টা থাকবে, যাতে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি। একই সঙ্গে চেষ্টা থাকবে, যত বেশি ভোটার আনা যায়। কারণ, নিকট অতীতের নির্বাচনগুলোতে হয়তো ওই রকম ভোটার টার্নআউট হয়নি। এর ফলে এবার এটাই বড় চ্যালেঞ্জ যে আমরা কত ভোটারের আগ্রহ জোগাতে পারি।’
সকাল ৯টার পরপরই প্রতীক বরাদ্দ পেতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন গালিবুর রহমান শরীফ। সেখানে পাবনা–১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান। এ সময় গালিবের সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
এক প্রশ্নের জবাবে গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, ‘ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া থেকে আমি এত কিছু পেয়েছি, আর তো পাওয়ার কিছু নেই। আমি যদি এখন কিছু দিতে পারি, এটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করব, আমার জায়গা থেকে কাজ করার, যদি সুযোগ পাই। সবাই আমাকে সেই সুযোগটা দিলে আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চ কাজ করার। সবার কথা শুনব, সবার পরামর্শ নিব। সব শুনে সমষ্টিগতভাবে পুরো ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’