শুক্রবার , ২৮ জুলাই ২০২৩ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীর দুটি সরকারি খাদ্যগুদামে ১০ অনিয়ম

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
জুলাই ২৮, ২০২৩ ৪:১০ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দুটি সরকারি খাদ্যগুদামে ১০ ধরনের অনিয়মের তথ্য পেয়েছে আমাদের ঈশ্বরদী ডটকম।

এর মধ্যে আটটি আর্থিক, একটি চুরি এবং আরেকটি ঠিকাদারসংক্রান্ত। ৫০ জন শ্রমিক, তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ১০ ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অনিয়ম এক : খাদ্যসামগ্রী তোলা ও নামানোর কাজে শ্রমিকদের জন্য সরকারিভাবে টনপ্রতি বরাদ্দ ৩২ টাকা।
কিন্তু শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২২ টাকা।
দুই : চালকরা গুদামে ট্রাক ঢোকানোর সময় আনসার সদস্যরা নেন ২০ টাকা।
তিন : গাড়ির সিরিয়াল দিতে শ্রমিক নেতা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নেন ২০ টাকা।
চার : ওজন স্কেলে দায়িত্বরত কর্মীরা নেন ২০ টাকা।
পাঁচ : ট্রাকপ্রতি ঝাড়ুদার নেন ৫০ টাকা।
ছয় : কাঠি গুনতে (বস্তা তোলা ও নামানোর সময় কাঠি দিয়ে গণনা করা) কর্মচারীরা নেন ২০ টাকা।
সাত : ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর সময় শ্রমিকদের দিতে হয় ১২০০ টাকা।
আট : ট্রাকে পণ্য ভর্তি করতে শ্রমিকদের দিতে হয় ১২০০ টাকা।
নয় : গত ১৩ জুলাই মুলাডুলি সিএসডি গুদামে চাল নিয়ে আসা ট্রাকচালক রাজু আলী জানান, প্রায় ১২৬টি ট্রাক দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে চাল নিয়ে মুলাডুলির সিএসডি গোডাউনে আসে। কিন্তু শুক্রবার শ্রমিকরা চাল আনলোড বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনিসহ অন্য চালকরা প্রাকৃতিক কাজ করার জন্য বাইরে বের হলে তাঁর ট্রাক থেকে ৩০ কেজির পাঁচ বস্তা চাল চুরি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে চালকরা বিক্ষোভ করেন।
দশ : মুলাডুলি সিএসডি গোডাউন ও পৌর শহরের এসএনএমও গোডাউন সূত্র জানায়, ১৩ বছর ধরে খাদ্যসামগ্রী খালাসের ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।

এ কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।

আরো অভিযোগ
চালকরা জানান, গুদামে চালকদের গোসল ও প্রস্রাব-পায়খানা করার জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রাতে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সময় গাড়িগুলো পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রাতের নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই খারাপ। সীমানাপ্রাচীর ভাঙাচোরা। লাইটের সুব্যবস্থা নেই। চারদিকে অন্ধকার। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ট্রাকের মূল্যবান যন্ত্রাংশও চুরি হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য
মুলাডুলি সিএসডি গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের লোডিং-আনলোডিং বিল সরকারিভাবে দুই-তিন মাস পর দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘকাল ধরে পাবনার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা এনে প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের বিল দেওয়া হয়। সে জন্য তাঁকে কিছু টাকা দেওয়া হয়। এ কারণে শ্রমিকরা কিছু টাকা কম পান।

শ্রমিকদের পেছনে টাকা লগ্নিকারী ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা শ্রমিক নেতা ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের টাকা দিয়ে আসছি। পরে গুদাম কর্মকর্তা আমাদের টাকা পরিশোধ করেন। টাকা লগ্নি করি আর শ্রমিকদের থেকে বাড়তি টাকা নিই। এটাই আমার ব্যবসা।’

মুলাডুলি সিএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, ‘ঠিকাদার নেই। নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি পাঠাচ্ছি। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আর ট্রাক থেকে চাল চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পাবনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসি ফুড) মো. হাসান আল নাঈম বলেন, ‘সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সারা দেশেই খাদ্যগুদামে ঠিকাদার নিয়োগ মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ রয়েছে।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!