ঈশ্বরদীতে নিজ নিজ বাড়ির থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশের ধারণা, ওই দুই যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ( ২৫ নভেম্বর ) পৌর এলাকার বাবুপাড়া রেল কলোনী এলাকায় সোহেল আফ্রিদি (২৩) ও রহিমপুর এলাকার মনির ইসলাম (২১) নামের দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঈশ্বরদী পৌর এলাকার রহিমপুরে রেজাউল ইসলামের ছেলে মনির ইসলাম (২১) নব-বিবাহিত এবং বাবুপাড়া রেল কলোনী এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে সোহেল আফ্রিদি (২৩) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আফ্রিদিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। একই দিন বিকেল ৫টার দিকে মনিরকে তাঁর শোয়ার ঘরে আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। ঘটনা দুটির খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ সন্ধ্যার মধ্যেই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরিবারের বরাত দিয়ে থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুম বলেন, ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন আফ্রিদি। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। ওই কলহের কারণে হয়তো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আফ্রিদি।
মৃত মনিরের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় তাঁর। মেয়েটি বয়সে অনেক বড়। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই মেয়েকে ঢাকা থেকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীর বাসায় নিয়ে আসেন তিনি। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। দুই দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী তাঁর বাবার বাড়িতে চলে যান। ওই কলহের কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। সুরতহালের সময় তাঁদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কলহের কারণে দুজন আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মূল কারণ জানা যাবে।