সোমবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে সবজির বাজারে স্বস্তি, নিত্যপণ্যের দামও কমেছে

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১:৪৪ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে সবজির বাজারে স্বস্তি, নিত্যপণ্যের দামও কমেছে

ঈশ্বরদীতে সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। সবজি, মুরগি ও ডিমের সবচেয়ে বেশী কমেছে। মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দামও কমেছে। পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল ও চিনির দামও কিছুটা কমেছে। আমদানিকৃত মসল্লাসহ প্যাকেটজাত দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানীর সকল পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। সোমবার সকালে বাজার ঘুরে, ব্যবসায়ী, কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দামের খবর জানা গেছে।

শাক-সবজির দাম কমে যাওয়ায় বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা গেছে। তবে কৃষকরা বলছেন, অস্বাভাবিক দরপতনে তাদের লোকসান হচ্ছে। সোমবার খুচরা বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১০ টাকা, শিম ১০ টাকা, নতুন আলু ১০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ২০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, মূলা ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে কাঁচামরিচের কেজি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। পালং শাক, লাল শাক, সবুজ শাকসহ অন্যান্য শাকের দাম ১৫ টাকা আঁটি থেকে ৫ টাকায় নেমেছে। এছাড়া প্রায় সকল সবজির দাম একই হারে কমেছে। আড়তদাররা বলেন, পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম কমেছে।

এদিকে ডিমের হালি ৩২-৩৫ টাকা আর ব্রয়লার ১৩০ টাকা এবং সোনালী মুরগি ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ডিমের হালি ৪০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা এবং সোনালী মুরগী ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাশাপশি বাজারে এখন খাল-বিলের মাছ আমদানি হচ্ছে। ফলে মাছের দামও কমেছে কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। বেশী কমেছে পুকুরে চাষকৃত মাছের দাম। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম কমেছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা ।

জয়নগর মোকামের চালকল মালিক মঞ্জুরুল আলম বলেন, চিকন চালের দাম কেজিতে ৫-৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা চালের দামও কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বিভিন্ন হাটে নতুন ধান ১,৪০০ টাকা থেকে নেমে ১,২০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শ্যামল পাল জানান, দেড় মাসের মধ্যে ডাল, তেল, চিনির দাম আর বাড়েনি। বরঞ্চ এসব পণ্যের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

সবজি কিনতে আসা চাকুরিজীবি সানোয়ার হোসেন বলেন, এখন বাজার করে স্বস্তি পাচ্ছি। বাজারে সবজিতে ভরপুর, দামও নাগালের মধ্যে। ২০ দিন আগেও বাজারে এলে কিছু জিনিস বাদ রেখেই বাড়ি ফিরতে হতো। ব্যগ ভরে সবজি কিনছি।

কৃষক উন্নয়ন সমিতির সভাপতি জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বলেন, আগাম সবজিতে কৃষকরা লাভবান হলেও এখন মোটা অংকের ক্ষতি হচ্ছে। শ্রমিকের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মাঠ হতে সবজি তুলে বাজারে আনতে শ্রমব্যয়ই ওঠছে না। খুচরা বাজারের চেয়ে পাইকারী বাজারে সবজির দাম অনেক কম। কপি, বেগুণ, শিম ৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১৭-১৮ টাকা, মূলা ১-২ টাকাতেও কেউ নিতে চায় না। শুধূ গাজড়ের দাম ছাড়া সকল শাক-সবজিতেই ব্যাপক ক্ষতি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, স্মরণকালের মধ্যে এবারে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম সবজিতে কৃষকরা ভালই লাভ করেছে। এখন বাজারে বিপুল সবজি আমদানি হওয়ায় দরপতন ঘটেছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!