পদত্যাগ |
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগপত্রে সই করছেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী। ছবি: আমাদের ঈশ্বরদী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী। আজ রোববার দুপুরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলীর পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। তাঁর (আতিয়া ফেরদৌস কাকলী) দেওয়া পদত্যাগপত্রটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আতিয়া ফেরদৌস কাকলী বলেন, ‘রোববার বেলা একটার দিকে ২০ থেকে ৩০ জন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীর নাম করে ছাত্ররা আমার কাছে আসেন। এ সময় আমি ইউএনও সাহেবের দপ্তরে ছিলাম। তাঁরা পদত্যাগপত্র লিখে এনে আমাকে ওই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ইউএনও সাহেব তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁরা কোনো কথা শুনতে চান না। মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমি তাঁদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করি। তাঁরা আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন।’
পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক পরিচয়ে তাসনিম মাহবুব সিমি বলেন, ‘আতিয়া ফেরদৌস কাকলী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সব সময় তিনি আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহরের রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়াসহ হয়রানি করেন। এ কারণে ওনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, উনি সসম্মান পদত্যাগ করেছেন।’