‘মেছো ভুত মাছ চায়, না পেয়ে প্লাস্টিক খায়’ এই স্লোগানে কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে দৈত্যাকার মূর্তি বানিয়ে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল প্রদর্শন করেছে রূপপুর প্রকল্পের তথ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৫ জুন) ঈশ্বরদী পৌরসভা চত্বরে স্থাপিত দৈত্যাকার মূর্তি স্থাপন করা হয়।
এর আগে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’ স্লোগান নিয়ে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সহায়তায় ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়ে আজ মঙ্গলবার (০৬ জুন) পর্যন্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এলাকায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের রজতজয়ন্তী উদযাপনকে কেন্দ্র করে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সোমবার স্থানীয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, দাশুড়িয়া এম. এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েক শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণে শিক্ষামূলক কর্মসূচী, ঈশ্বরদী পৌরসভা প্রাঙ্গনে প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বারা তৈরি দৈত্যাকার মূর্তির উদ্বোধন করা হয়।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সোমবার রূপপুর মোড়ে আয়োজিত হবে বিশেষ রোড শো এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে জনগনকে প্লাস্টিক দূষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিষদভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক রিসাইকেল পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদানের জন্য বুধবার তাদের নিয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেডে অবস্থিত আদনান পিএসএফ ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা পরিদর্শন করা হবে।
রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাকটর এতমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (রসাটমের প্রকৌশল শাখা) জানায়, এসব কর্মসূচীর অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য হলো নিউক্লিয়ার এনার্জীর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা। বর্তমান বিশ্বে লো-কার্বন এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের উৎস হিসেবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা থেকে এক দিকে যেমন সুরক্ষা দিচ্ছে অন্য দিকে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারেও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।