শুক্রবার , ২৬ মে ২০২৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেল জব্দ করায় পুলিশ সদস্যকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৬, ২০২৩ ৬:২০ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মোটরসাইকেল জব্দ করায় হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদীর পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার স্যান্যাল। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদী দাশুরিয়ার মুনশিদপুরে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুর হাটপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান মিন্টুর ছেলে আশিকুর রহমান আকাশ (২৪) এবং একই এলাকার সৌরভ আলীর ছেলে হাসিব আলী (২৯)। আশিকুর রহমান আকাশ মালিগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পাবনা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক। হাসিব আলী ছাত্রলীগকর্মী ও আকাশের বন্ধু।

পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার স্যান্যাল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাজারের পাশে চেকপোস্ট চলছিল। হেলমেটবিহীন অবস্থায় উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন আকাশ ও হাসিব। এ সময় হাইওয়ে পুলিশ তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করে কনস্টেবল সাধন চন্দ্রের মাধ্যমে পাকশী হাইওয়ে থানায় পাঠানো হয়। পথে মুনশিদপুরে সাধন চন্দ্রকে আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে গতিরোধ করেন আকাশ ও হাসিব। এ সময় সাধন চন্দ্রকে বেধড়ক মারধর করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে চেকপোস্টের পুলিশ সাধন চন্দ্রকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আকাশ ও হাসিবকে দুটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত সাধন চন্দ্রকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্ত। তারা জানান, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ সংগঠনের ক্ষতি হয় ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতো কাজ করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ