ঈশ্বরদী বাজারে আটা কেনার ধূম পড়েছে। চলতি সপ্তাহে একই চিত্র দেখা গেছে বাজারে। এক দিনেই কেজিতে আটার দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। দাম আরও বাড়বে এই প্রচারণায় সাধারণ ক্রেতারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আটা কিনে মজুদ করছেন বলে দোকানদারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, খুচরা বাজারে বস্তার খোলা অটো ও সুজি আটা ৫২-৫৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। আর লাল আটা বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৫৮-৬০ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানীর এক কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছিল ৫৫-৫৮ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ করেই বাজারে বস্তার খোলা অটো ও সুজি আটা ৬০ টাকা কেজি এবং লাল আটা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়। এ অবস্থায় প্যাকেটজাত আটার দামও তুলনামূলক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আটার দাম বেড়ে যাওয়ার খবর দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে বাজারের অন্যান্য দোকানদার এবং তাদের কর্মচারীরা আটা কিনতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্যাকেটজাত আটার দাম ঠিকই ছিল। বেশী পরিমাণে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি শুরু হওয়ায় দোকানদাররা রাতে এবং শুক্রবার সকালে এ আটার দামও বাড়িয়ে দেয়।
খোলা আটার দোকানদার শরীফ জানায়, গমের দাম বেড়েছে বলে মিল মালিকরা বস্তার আটার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম আরও বাড়বে এ আশংকায় সাধারণ ক্রেতারা বেশী বেশী আটা কিনছে।
বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলার এবং বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীদের গুদামে বিপুল পরিমাণ প্যাকেটজাত আটা মজুদ রয়েছে বরে জানা গেছে। এসব আটা পূর্বের দামে কেনা। দাম বেড়ে যাওয়া আটা এখনও কোম্পানী হতে সরবরাহ হয়নি বলে জানা গেছে। সুযোগ বুঝে স্থানীয় ডিলার এবং বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এক রাতের মধ্যেই দাম বাড়ি অবৈধ মুনাফা অর্জনে মেতে উঠেছে বলে সাধারণ ভোক্তরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এব্যাপারে ভোক্তা অধিকারের স্থানীয় প্রসিকিউটার সানোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আটার দামের বিষয়টি সকালেই শুনেছি। জেলা অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।