বৃহস্পতিবার , ৭ জুলাই ২০২২ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য বিক্রি হবে নজরকাড়া গোলাপি মহিষ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ৭, ২০২২ ৪:০৪ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য বিক্রি হবে নজরকাড়া গোলাপি মহিষ

ঈশ্বরদীতে কোরবানির পশু ক্রেতাদের নজর কেড়েছে গোলাপি রঙের মহিষ। পৌর এলাকার অরণকোলা হাটসংলগ্ন বেশ কয়েকটি খামারে এবার গোলাপি মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা খামারে আসছেন। অনেকেই অনলাইনে দেখে গোলাপি মহিষ কিনে নিচ্ছেন। তবে এ রঙের মহিষ দেশে বিরল।

অরণকোলার খামারগুলোতে প্রায় তিন-চার বছর ধরে গোলাপি রঙের মহিষ পালন করা হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম কোরবানির জন্য গোলাপি মহিষ বিক্রি করা হচ্ছে। বিরল প্রজাতির এ মহিষ দেখতে ক্রেতারা খামারে ভিড় করছেন।

অরণকোলার মামা কৃষি ফার্মের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন জানান, সাড়ে তিন বছর আগে তিনি অরণকোলা হাট থেকে গোলাপি রঙের দুটি মহিষের বাছুর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কিনেছিলেন। এ মহিষের জাত সম্পর্কে তিনি জানেন না। মহিষ দুটি সাড়ে ৯ লাখ টাকায় তিনি বিক্রি করেছেন।

তিনি বলেন, এ মহিষ কালো মহিষের মতোই শান্ত প্রকৃতির। খাদ্যেভ্যাসের কোনো পরিবর্তন নেই। অন্যান্য মহিষ যা খায় এ মহিষও তাই খায়। শরীরের রঙ গোলাপি হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এ মহিষের কদর বেশি।

অরণকোলা আলো ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুল আলম আলো জানান, তার খামারে দুটি গোলাপি রঙের মহিষ রয়েছে। এবার কোরবানিতে এগুলো বিক্রি করবেন। প্রতিদিনই ক্রেতারা এসে দরদাম করছেন। অনেকেই কৌতূহলবশত গোলাপি মহিষ দেখতে আসছেন। যে কোনো সময় এগুলো বিক্রি হয়ে যেতে পারে।

সাড়ে তিন বছর ধরে গোলাপি রঙের মহিষ পালন করছেন অরণকোলা ওয়ান স্টপ ক্যাটল র‌্যান্স ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া সোহান।

তিনি  বলেন, এরই মধ্যে কয়েকটি গোলাপি মহিষ বিক্রি হয়েছে। এখন দুটি মহিষ আছে। এ দুটিরও দরদাম চলছে।

‘১৪ মণ ওজনের মহিষটি পাঁচ লাখ টাকা দরদাম হয়েছে। আরেকটি গোলাপি মহিষ সাড়ে চার লাখ টাকা দাম বলেছে। আজকালের মধ্যেই মহিষ দুটি বিক্রি হয়ে যাবে’, যোগ করেন গোলাম কিবরিয়া সোহান।

কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ঈশ্বরদীর উপ-পরিচালক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম জানান, সাধারণত মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে এ ধরনের মহিষ এদেশে আনা হয়। শখেরবশে অনেকেই দু-চারটি করে পালন করছেন।

তিনি বলেন, ‘এ মহিষ বাণিজ্যিকভাবে এখনো পালন শুরু হয়নি। এ মহিষের জাত বা প্রজননের বিষয়ে কেউ কখনো জানতেও আসেননি। গায়ের রঙ গোলাপি হওয়ায় এ মহিষের কদর বেশি মনে হচ্ছে।’

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়ের) পরামর্শক (কনসালটেন্ট) অধ্যাপক ওমর ফারুক জানান, গোলাপি বা সাদা রঙের মহিষ মিয়ানমারের জলাভূমি এলাকায় বেশি দেখা যায়। এগুলো কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে এদেশে আসে। গায়ের রঙ গোলাপি হওয়ায় এগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। তাই কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের কাছে এগুলোর চাহিদা বেশি মনে হচ্ছে। এসব মহিষের মাংস বেশ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!