প্রেমিকের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে গিয়ে লালসার স্বীকার হওয়া এক প্রেমিকা পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করেছে। স্থানীয়দের উদ্ধার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেও তাকে অসুস্থ অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিল (১৭) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশুকে যৌনপীড়ন করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর পুলিশ প্রেমিক ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে। ইব্রাহিম খলিল রাজবাড়ী জেলা শহরের শ্রীপুর নোয়াখালী পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
ওই ছাত্রী জানায়, সে রাজবাড়ী জেলা শহরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ৬ মাস পূর্বে তার সঙ্গে ইব্রাহিম খলিলের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খোলে গত রবিবার। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে তার স্কুলের সামনে আসে ইব্রাহিম। এরপর তারা জেলা শহরের গোদার বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যায়।
এক পর্যায়ে নদীর তীরে থাকা মোস্তফার ইটভাটার পূর্ব পাশের নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে যায় ইব্রাহিম এবং সেখানে তার সঙ্গে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি তার শরীরে হাত দেয়। নিষেধ করার পরও ইব্রাহিম আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সে ইব্রাহিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড়ে পদ্মা নদীতে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের করার পরামর্শ দেন।
রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, আসামি ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।