তত
ঈশ্বরদীতে নাইমুল ইসলাম হৃদয় (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে অভিযোগ করেছে অপহৃতদের পরিবার।
গত শুক্রবার এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে চক্রটি অপহৃত শিক্ষার্থীর মুঠোফোন দিয়ে যোগাযোগ করে পরিবারের কাছে নগদ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অপহৃত পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী হৃদয়ের বাড়ি উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মজনু মোল্লা। তাঁদের ওই এলাকায় মোবাইল ও বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার দোকান রয়েছে। এ দোকানে বড় ভাইকে ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করেন তিনি।
অপহৃত শিক্ষার্থীর ভাই জীবন হোসেন জানান, ‘শুক্রবার সকালে বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় হৃদয়। কিন্তু দুপুরেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে মোবাইলে কল দেন পরিবারের সদস্যরা। তখন হৃদয়ের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অন্য আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি। সর্বশেষ ওইদিন দুপুরে অপহৃত শিক্ষার্থীর মুঠোফোন নম্বর থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষর্থীর পরিবারের কাছ থেকে গত শুক্রবার অভিযোগ পেয়েছি। ঈশ্বরদী থানা ও রূপপুর ফাঁড়ি পুলিশকে সাথে নিয়ে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
রূপপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী অপহরণের বিষয়টি ঈশ্বরদী থানার মাধ্যমে জানার পরপরই পুলিশ মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটকের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাও কাজ করছে।