ঈশ্বরদী উপজেলা কলেজ রোড সরকারি কলেজের পাশেই চলছে ড্রেন সংস্কারের কাজ। আইন অমান্য করে মেইন রাস্তা দখল করে চলছে নাটোরের প্রভাবশালী জেমস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ড্রেন নির্মাণের কাজ। এতে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। চরম অব্যবস্থানা ও দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় পথচারী সহ রাস্তায় চলাচল করা ছোট বড় যানবহন চালকরা।
পৌর প্রশাসন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে উদাসিনতা আর গাফলতির কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসী সহ রাস্তার পথচারীদের। ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের পাশে ৪ নং ওয়ার্ড এ গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সড়কের উপর যত্রতত্র বালি স্তুপ, পাথর ও বিটুমিনের ঢালাই মেশিন রাখায় ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ থেকে শহরের সদর হাসপাতাল ও বাজারের চলাচল করা ছোট -বড় গাড়ি লং রুটে ও ক্রসিং লেন দিয়েই পারাপার হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার।
এদিকে শহরের মেইন সড়ক দখল করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ করায় ক্রসিং লেন দিয়ে অবাধে গাড়ি চলাচলে ঈশ্বরদীর স্থানীয় সাংবাদিক সাকিব হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় সেখানে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হন। এতে তার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ব্যাবহৃত ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বেশ কিছুদিনের ব্যাবধানে সেখানে ৪ টা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক সাকিব হোসেন এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ করেও হয়নি কোন প্রতিকার। তবে কি প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে?
ট্রাক চালক আব্দুর রহমান জানান, মেইন রাস্তা এভাবে দখল করে কাজের দ্রব্যসামগ্রী রেখে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। আমাদের লোড গাড়ি নিয়ে ক্রসিং লেন পার হতে হচ্ছে, একই পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল, রিক্সা, ভ্যান সব যানবহন চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।
সড়কের পাশে কম্পিউটার দোকান মালিক আলামিন হোসেন বলেন, আমার দোকানের সামনে এভাবে রাস্তা দখল করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে আমার দোকানে কাস্টমার আসতে পারছেনা, তাদের একাধিকবার বলেও কোন কাজ হয়নি। আমার দোকান খোলা রাখা যেমন দুষ্কর তেমনি রয়েছে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা। ইতিম্যধ্য ৪ টা সড়ক দুর্ঘটনা এখানে হয়েছে। তবুও তাদের কোন নজরদারী নেই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের দায়িত্বে থাকা রবিউল ও ম্যানেজার জানান, আজকালের মধ্যে তারা সড়কের উপর রাখা বালু ও পাথর সরিয়ে নিবেন। কিন্তু সরানোর পরিবর্তে যেন রাস্তার উপর আরো কাজের দ্রব্য সামগ্রী ফেলানো হয়েছে।
সাংবাদিক সাকিব হোসেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কি ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত করে আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবাস্থা নিব।
