শনিবার , ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী ইপিজেড শ্রমিক নাইম হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
জানুয়ারি ১১, ২০২৫ ১১:২২ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী ইপিজেডের কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান নাইম (২০) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল, ঈশ্বরদী-বানেশ্বর মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় নাইমের বাড়ির সামনে গোকুলনগর এলাকার মহাসড়কে পরিবারসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসীর অংশগ্রহনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধে সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির এডমিন হাবিবুর রহমান হাবিব, এডমিন মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মশিউর রহমানসহ হত্যায় জড়িতদের ‌দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিহত নাইমের ৫ মাসের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী রিমি খাতুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নাইমের দক্ষতার কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের এইচ আর হাবিবুর রহমান হাবিব, এডমিন মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মশিউর রহমান, প্রান্ত ও সজিবসহ কয়েকজন এই পদোন্নতি মেনে নিতে পারেনি। যেকারণে ঘটনার দিন তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা নাইমকে প্রচন্ড মারধর করে নাইমকে গুরুতর আহত করে। এতে নাঈম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ইপিজেড হাসপাতালে পরে রাজশাহীতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

রিমি বলেন, নাইম মৃত্যুর আগে কারা তাকে মারধর করেছে এবং জড়িতদের কথা বলে গেছে। ন্যায্য বিচার দাবি করে তিনি বলেন, জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

এসময় নিহত নাইমের বাবা মাসুদুল হক মুক্তা, মা চম্পা বেগম, সামাজিক সংগঠন মানাবের মাসুম পারভেজ কল্লোল, আউয়াল কবীর, আলিক হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা তানজিদুর রহমান দেহান, মেহের হোসেন সৈকতসহ স্বজন ও সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

নিহত নাইম ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির কম্পিউটার পদে কর্মরত ছিলেন। নাইমের পরিবারের দাবি, বুধবার (৮ জানুয়ারী) অফিসে যাওয়ার পর পদোন্নতির বিষয় নিয়ে অফিস স্টাফদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাইম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মাসুদুল হক মুক্তারের ছেলে। এঘটনায় প্রথমে ৬জনকে নামীয় আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে অদৃশ্য কারণে হাবিব, প্রান্ত ও সজিবকে ৩ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ ১ নম্বর আসামী ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি এডমিন হাবিবুর রহমান হাবিবকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে।

এবিষয়ে এডমিন মিজানুর রহমানের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইপিজেডে নাইমকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। তিনি একটি অডিট কাজে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ১ নম্বর আসামী হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে আনা হবে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ