হামলা, ভাঙচুর, মামলা তারপরেও রেহাই পায়নি বড় ভাইয়ের হাত থেকে ছোট বোন। বাড়ির সামনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দেওয়াল দিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বড় ভাই ও ছোট ভাইয়ের সন্তানেরা। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং মামলা হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শৈলপাড়া নিজ বাড়িতে ভুক্তভোগী ফিরোজা খাতুন সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগগুলো তোলেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের তার বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন সেটি দেখান।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুল করিম ড্রাইভার তার ছোট বোন ফিরোজা খাতুন বাড়ি করার সময় ছোট বোনকে ফুসলিয়ে জমির শেষের অংশে বাড়ি করার পরামর্শ দেন এবং বলেন তার সন্তানের বাড়ি সামনের অংশে থাক। ভাতিজার কথা চিন্তা করে ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী জমির পিছনে অংশে ছোট ভাই বদলুর রহমানের কাছ থেকে ক্রয়কৃত জমিতে ২০০৯ সালে বাড়ি করেন। পরবর্তীতে দেখা যায় ২০১২ সালে বড় ভাই আব্দুর রহিম ড্রাইভার জমির সামনের অংশে বাড়ি করেন এবং তার একমাত্র ছেলে সিহাবকে বঞ্চিত করে তার দুই মেয়ের নামে সম্পূর্ণ বাড়ি লিখে দেন। এরপর ছেলে এবং ছেলের বউকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
ভক্তিভুগি অভিযোগে আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দুই নেতার নির্দেশে যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন অবুজ এসে বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। চলাচলে রাস্তা বন্ধ থাকে বর্তমানে মানবতার জীবন যাপন করছেন পরিবারটি।
এর কিছুদিন পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আব্দুর রহিম ড্রাইভার বাদী হয়ে তার ছেলে আসাদুজ্জামান শিহাব, শিয়াবের স্ত্রী শিক্ষিকা তাহসিনা কবির, আমার স্বামী আবু তালেব মিস্ত্রি ও আমি ফিরোজা খাতুন মোট চারজনকে আসামি করে কোর্টে মামলা দায়ের করে। পুনরায় আমাদের এই চারজনকে আসামি করে ছোট ভাই বজলুর স্ত্রী মনজুরা খাতুন বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এক নং মামলায় আমরা নির্দোষ হিসেবে খালাস পেলে বাজি মামলাটি চালানোর জন্য রিভিউ করে। বর্তমানে দুটি মামলা কোর্টের চলমান রয়েছে। এরমধ্যে আমাকে এবং আমার ভাতিজা শিহাবকে মেরে ফেলার জন্য আমার ছোট ভাই বজলুর তিন ছেলে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে। প্রতিবার গ্রামবাসীর সহায়তায় রক্ষা পায়।
এছাড়াও ভাতিজা শিহাব যেই বাড়িতে বসবাস করতে সেই বাড়িটি বর্তমানে আমার ছোট ভাই বজলু ও তার তিন ছেলে দখল করে রেখেছে।
আব্দুর রহিম ড্রাইভার, তার ছোট ভাই বজলুর ও তার তিন ছেলে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। প্রায় পঞ্চাশের অধিক এলাকাবাসীর প্রতিকার চেয়ে গণস্বাক্ষর দিয়ে এর প্রতিকার চেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার পাবনাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।