দীর্ঘ সাত বছর পর আগামীকাল রোববার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগেই রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের অনুসারীরা। আজ শনিবার দুই গ্রুপের এই মারামারিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা নাটোরে আসছেন। তাঁরা থাকবেন সরকারি সার্কিট হাউসে। আর এতে সার্কিট হাউসে অবস্থান করা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। এই প্রতিযোগিতা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ও শফিকুল ইসলাম শিমুল সার্কিট হাউসে অবস্থান করছিলেন।
দুই গ্রুপের এই মারামারিতে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু, প্রচার সম্পাদক মশিউর রহমান, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর নাফিউল ইসলাম অন্তর, মো. মনজুরুল, শিমুল শাহিন, আনোয়ার হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, তোতা মিয়াসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে তোতা মিয়ার অবস্থা গুরুতর। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সংঘর্ষের জন্য সাংসদ শিমুল ও শরিফুল ইসলাম রমজান পরস্পরকে দায়ী করছেন। রমজানের দাবি, সার্কিট হাউসে প্রবেশপথেই পরিকল্পিতভাবে তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। সাংসদের লোকজন আবারও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেকোনো সময় আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাতে পারে।
অন্যদিকে সাংসদ শিমুল বলেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনকে বাধাগ্রস্ত করতে ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বর্তমান নেতৃত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে রমজানের কর্মীরা তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোহসিন বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষ সার্কিট হাউসের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সার্কিট হাউসের আশপাশে মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন :