আবারও ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিয়ে গত ৮ দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং সিঁড়ি থেকে পড়ে পাঁচ রুশ নাগরিকের মৃত্যু হলো।
আজ রোববার দুপুরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আজকের মৃত্যু সম্পর্কে পুলিশ বলছে, ভোরোটনিকভ আলেকজান্দ্রা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ‘নিকিম’নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি রূপপুরে বিদেশিদের জন্য নির্মিত সাহাপুরের নতুনহাট ‘গ্রিনসিটি আবাসিক প্রকল্পের একটি কক্ষে থাকতেন। আজ রোববার দুপুরের দিকে তাঁর ফ্ল্যাটের কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক সহকর্মী। পরে গ্রিনসিটি ও রূপপুর প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে মদ্যপ অবস্থায় সিঁড়ি থেকে পড়ে এবং অপরজন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রুশ নাগরিক মারা গেছেন।
গত ১০ দিনের ব্যবধানে রূপপুরে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। শুধু একজনের মাদক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। অন্যদের রিপোর্টে হৃদরোগের কথা বলা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রেস্ট রোসেম নামে রুশ সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রুশ নাগরিক চুকিন পাভেল (৪৮) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাঁকে গ্রিনসিটি আবাসিক থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে রাত ২টার দিকে তলমাসেফ ভাইয়াসেলভের (৫৯) নামের এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। তিনি ১২ নম্বর আবাসিক ভবনের ১৩ তলার ১৩১ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের এসএমইউ-১ নামে আরেকটি সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইনস্টলার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় হাঁটার সময় হঠাৎ ১৪ তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে অজ্ঞান হন। পরে কোম্পানির নিজস্ব ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি শাকিরভ আলেক্সেইয়ের ঘুমের মাঝে এবং ২৮ জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বারচেনকো আলেক্সেইয়ের। তারা দুজনই এই প্রকল্পের কর্মী ছিলেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলেকজান্দ্রার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন :