সোমবার , ১৮ মার্চ ২০২৪ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

বাড়িতে গিয়ে যা জানা গেল
অবন্তীকার আত্মহত্যা : গ্রেপ্তার আম্মানের বাড়ি ঈশ্বরদীতে

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
মার্চ ১৮, ২০২৪ ২:০৮ পূর্বাহ্ণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তীকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান। তাঁর স্কুলজীবন কেটেছে নিজ বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে।

শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের শেষ সীমানা পোড়ারদাইর গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে আম্মানের পৈতৃক ভিটা। এখানেই বাবা–মা ও আত্মীয়স্বজনের বাস। বাবা পেশায় কৃষিপণ্য ও ভুসিমাল ব্যবসায়ী। দুই ভাইয়ের মধ্যে আম্মান ছোট। বড় ভাই রুম্মান সিদ্দিকী ঢাকায় লেখাপড়া করেন।

গতকাল রোববার দুপুরে পোড়ারদাইড় গ্রামে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবন্তীকার আত্মহত্যার বিষয়টি গ্রামবাসীকেও কষ্ট দিয়েছে। তবে অবন্তীকার আত্মহত্যার পেছনে আম্মানের প্ররোচনার অভিযোগ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করতে চাননি।

গ্রেপ্তার

রায়হান সিদ্দিকী আম্মান।

দুপুর ২টায় পোড়ারদাইড় গ্রামের মসজিদ পেরিয়ে যখন আম্মানের বাড়িতে যান আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধি। বাড়ির ভেতরে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির মূল ফটকে টোকা দিলে কিছুক্ষণ পর সামনের একটি বাড়ি থেকে আম্মানের চাচাতো ভাই পরিচয়ে সাইফুল্লাহ নামে এক যুবক কথা বলেন। এখানে আসার কারণ জানতে চান। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি আম্মানের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন এবং একটু পর ফিরে এসে বলেন, ‘চাচা (আম্মানের বাবা) বাড়িতে নেই।’ এসব বিষয় নিয়ে ওই যুবকও কথা বলতে চান না। তবে আম্মান ষড়যন্ত্রের শিকার বলে তাঁর দাবি।

বাড়ির সামনে সাংবাদিকের আগমন দেখে কৌতূহলী প্রতিবেশী আমিরুল ইসলাম এগিয়ে আসেন। তিনি কিছু একটা বলতে চাইলেও সাইফুল্লাহ তাঁকে বলেন, ‘ভাই আগে এদিকে আসেন তো, জরুরি কাজে কথা বলতে হবে আপনার সঙ্গে।’

পাবনার ঈশ্বরদীতে আম্মানদের বাড়ি।

খানিকপর সাইফুল্লাহ আবারও বাড়ির ভেতরে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজের সেলফোনটি এই প্রতিনিধির হাতে দিয়ে কথা বলিয়ে দেন আম্মানের বড় ভাই রুম্মানের সঙ্গে। রুম্মান বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই না। কথা বলবেন আমাদের আইনজীবী।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে এখন শুধু মেয়েরা আছেন। আমাদের বাড়ির মেয়েরা বাইরের কোনো পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন না।’ এরপর তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

এরপর সাইফুল্লাহ জানান, আম্মান ছোটবেলায় আওতাপাড়া কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা করেন। বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকের লেখাপড়া শেষ করে ঢাকার মোহাম্মদপুরে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন। এরপর থেকে ঢাকাতেই আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে আম্মান মাঝেমধ্যে কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতেন। তাদের অনেকেই আম্মান ও অবন্তীকার সঙ্গে ‘ঝামেলা’র বিষয়টি জানতেন। তাঁদের একজন পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী সজিব। পোড়ারদাইড় গ্রামেই তাঁর বাড়ি। সজিব বলেন, ‘প্রাইভেট পড়ানোর সময় ভাইয়া (আম্মান) এক ছাত্রীর সঙ্গে কিছু সমস্যার কথা আমাকে বলেছিল। পরে আর এ বিষয়ে ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়নি।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!