শুক্রবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে রেল কলোনির ৮৫ শতাংশ অবৈধ দখলে

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
নভেম্বর ১৭, ২০২৩ ৬:২২ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে রেল কলোনির ৮৫ শতাংশ অবৈধ দখলে

পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের কোয়ার্টারের (আবাসিক ভবন) ৮৫ ভাগের বেশি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে পরিত্যক্তঘোষিত ৩৯৬টি ইউনিটও রয়েছে। এছাড়া দখল হয়ে যাচ্ছে রেলের ফাঁকা জমিও। এই অবস্থায় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশি টাকায় অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাড়ি ভাড়া কর্তনকৃত অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে অফিসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ রেল শহর ঈশ্বরদীতে ৩৪২টি রেলওয়ের আবাসিক ভবন রয়েছে। এই ভবনগুলোতে মোট ইউনিটের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২১২টি। ইউনিটগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশেরও বেশি অবৈধ দখলদারদের দখলে। পরিত্যক্তঘোষিত ইউনিটেও অবৈধ দখলদাররা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

এ আবাসিক ভবনগুলো মূলত দুই ও এক ইউনিটের। নিম্ন-আয়ের বেশির ভাগ মানুষই এসব কোয়ার্টারগুলোতে বসবাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে তাদের কাছ থেকে কেউ কেউ নিয়মিত ভাড়াও আদায় করছে। তবে এসব কোয়ার্টার কারা ভাড়া দিয়েছেন বা কত টাকা ভাড়া দিতে হয়, এ ব্যাপরে অবৈধ বসবাসকারীরা কেউই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, বৈধ কোনো বসবাসকারী এসব ভবনে বসবাস না করায় তারা ভাড়া খাতে কোনো আয় অর্জন করছেন না। জনৈক অবৈধ বাসিন্দা বলেন, আগে আমার বাবা রেলওয়েতে চাকরি করতেন। জন্মের পর থেকে এখানে আছি। তাই এখনো বাস করছি। এসব বাসায় এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের বাপদাদা আগে রেলে চাকরি করতেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত উত্তরাধিকারের মতোই অনেকেই বাস করে চলেছেন। পরিবারগুলো বড় হয়ে যাওয়ায় কোয়ার্টারের সামনে ও পেছনের ফাঁকা জমিতে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দখলে নিয়ে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দিব্যি বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যেই হাতবদলও হয় এসব কোয়ার্টার। হাতবদলের সময় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। অনেকেই এসব কোয়ার্টারে বিদ্যুৎ সংযোগও নিয়েছে। অবৈধ বসবাসকারীরা পৌর এলাকার সব সুযোগসুবিধা ভোগ করলেও এদের হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয় না।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগের প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল আবাসিক ভবন মেরামত ও সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, আপাতত পরিত্যক্ত ভবনগুলো সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা রেলওয়ের নেই। তবে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগতিতে আছে। আগামীতে এ বিষয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য প্রয়োজন অর্থ এবং জনবল। সামনে নির্বাচন, তাই আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জনবল এবং আর্থিক বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় বৃহত্তম এই বিভাগে ব্যাপকভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ