রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসার কথা ছিল আগামী বছরের ডিসেম্বরে। কিন্তু করোনার কারণে প্রকল্পের কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি ২০২৪ সালের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের কাজ ৮৭ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আমরা ২০২৪ সালের শেষ দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারব।
তিনি বলেন, কোভিডের কারণে কাজে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে। শিগগিরই আমরা দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শুরু করব। বৈশ্বিক মহামারির কারণে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই প্রকল্পের কাজ ঠিক সময়ে করতে পারেনি। তারপরও আমরা দ্রুতই কাজ করতে পেরেছি।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালুর মাধ্যমে সেই স্বপ্ন আরও এক ধাপ পূরণ হবে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অনেক প্রকৌশলী এই খাতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজে দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। কয়েকশ ছেলেমেয়ে এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রকৌশলীরা রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
এর আগে, অক্টোবরে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি উদ্বোধনের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছিলেন, আগামী বছরের মধ্যেই রূপপুরের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে।