বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার
Ticker news is only displayed on the front page.

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারামুক্ত হলেন বিএনপির আরও ৫ নেতা

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫ ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলুসহ বিএনপির আরও ৫ নেতা কারামুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় কারাবরণকারী সবাই খালাস পেলেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা ও রাজশাহী কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন।  এর আগে গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকারিয়া পিন্টুসহ তিন নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়।


ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আন্দোলনে নামবে বিএনপি : হাবিব

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ রুখে দেবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়।

বে।তিনি বলন, বিএনপিকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হোন না কেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি; তাহলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আজ আওয়ামী লীগ মাইনাস হয়েছে। এখনো বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যারাই ষড়যন্ত্র করবে তারাই মাইনাস হয়ে যাবে।


আজ কারামুক্তরা হলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান,  সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার কমিশনার শামসুল আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন এবং ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহীন।

৩০ বছর আগে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও সদ্য পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় গত ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রুস্তম আলী। এই ফরমায়েশি রায়ে স্থানীয় বিএনপির মোট ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সরকার পতনের পর ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের যৌথ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি বাদে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত।  পরে তারা মুক্ত হোন। আর নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ফাঁসির ৯ জনসহ সাজাপ্রাপ্ত সবাইকে খালাস দেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে মুক্ত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি চলছিল। কিন্তু আজ সব ষড়যন্ত্র ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি। আমরা সবাই শহীদ জিয়ার সৈনিক। যত সমস্যাই হোক না কেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ