ঈশ্বরদীতে ভাড়া বাসা থেকে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মোঃ আকমল (৫২) নামে এক দোভাষীর রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার(১৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের দরিনারিচা এলাকায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আকমল রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বথ পালিগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় মুঠোফোনে সর্বশেষ কথোপকথনের প্রমান পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আকমলের তৃতীয় স্ত্রী শবনম মুশতারি স্বর্ণাকে (২৮) থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আকমল-স্বর্ণা দম্পতি কয়েকমাস আগে এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। আমরা যতটুকু জানি এটা তার তৃতীয় স্ত্রী এবং পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছে। প্রতিদিনের মত আকমল হোসেনকে তার কাজে বের হতে দেখা যাইনি আজকে। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়ির মালিক ও আশেপাশের লোকজন তাকে তার শয়নকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস নেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে আকমল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তৃতীয় স্ত্রী শবনম মুশতারী স্বর্ণা বলেন, সকাল আনুমানিক সাড়ের ৬ টার সময় আমার কর্মস্থলে চলে যাই। পরে আমার স্বামীর সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। সে মদপান করেছিল এবং হতাশাগ্রস্থমূলক কথাবার্তা বলছিল।
বাড়ি মালিকের স্ত্রী জানান, আজ সকাল সাড়ে ৬টার সময় বাড়ি মেইন গেট খোলার শব্দ পাই, পরে সাড়ে ৯ টার সময় ধুপ করে কোন কিছু পড়ার শব্দ পাই। উনি মদপান করে মাঝেমাঝেই স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে আসবাবপত্র ভাংচুর করতেন। এজন্য আমি কোন গুরুত্ব দেইনি।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম শহিদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে তার মৃত্যুর কারন। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।