পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী (১৯)। প্রেমিক সেলিম রেজার সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
সেলিম রেজা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন সেলিম।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার এই এলাকায় আসেন ওই তরুণী। এরপর তিনি সেলিমের বাড়ি খুঁজে বের করে সেখানে যান। সেলিমের পরিবারকে তাদের সম্পর্কের কথা জানান। তবে তারা বিষয়টি অস্বীকার করলে বিয়ের দাবিতে বাড়ির সামেন অবস্থান নেন ওই তরুণী।
লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী দাবি করেন, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন সেলিম। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললে সেখান থেকে পালিয়ে ঈশ্বরদীতে চলে আসেন তিনি। একসঙ্গে বসবাসের সময় তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে রাখেন সেলিম। সেই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে সেলিম লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী।
বিয়ের দাবিতে অবস্থানরত ওই তরুণী বলেন, সেলিমের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক। সে হঠাৎ করে অন্য কোথাও বিয়ে করবে এটা আমি কখনোই মেনে নেবো না। সে আমাকে বিয়ে করবে এটাই শেষ কথা। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব।
তিনি বলেন, এলাকার কিছু বড় ভাই নানা রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। কেউ উপকার না করে বরং বিপক্ষে কাজ করছে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো খোঁজখবর নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম রেজার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। পলাতক থাকায় বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি কেউ। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মেয়েকে তারা মেনে নেবে না।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।