ঈশ্বরদীতে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে ‘ইসলামী লাইফ টাইম ফাউন্ডেশন’ নামের একটি ‘হায় হায়’ প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শেরশাহ রোড বেলতলায় ‘ঢাকঢোল’ পিটিয়ে ‘ইসলামী লাইফ টাইম ফাউন্ডেশন’ এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে ‘ইসলামী লাইফ টাইম ফাউন্ডেশন’ এর উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও ঈশ্বরদীর প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে প্রায় ৬/৭ মাস কার্যক্রম চালিয়ে শত শত গ্রাহকদের নানা ধরণের প্রলোভন দিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, জনপ্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা উৎকোচ এর বিনিময়ে সকলের চাকুরী হয়। এরপর তিন মাস বেতন দিলেও পরবর্তী চার মাস বেতন না দিয়েই নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সুত্র জানায়, ১৩ জন স্টাফ নিয়োগ দিয়ে ঈশ্বরদী শহরসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে হাজার হাজার গ্রহক সৃষ্টি করে তারা। এমনকি সমাজের সহজ-সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে ‘পেনশন’ ভাতার কথা বলেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। অনেকটা গোপনে প্রতারণার এই কাজটি চললেও টের পায়নি সমাজ সচেতন কেউ।
সুত্রটি আরও জানায়, ‘ইসলামী লাইফ টাইম ফাউন্ডেশন’ এর উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ঈশ্বরদী থানা কো-অর্ডিনেটর মোঃ শফিকুল ইসলাম লিটন, ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক বুলবুল হোসেন ও ওসমান খন্দকার এর নেতৃত্বে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্ম-সংস্থান সৃষ্টি করা, গরিব দুঃখিদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও আর্থিক সেবা প্রদান, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, পেনশন ভাতা, প্রতিবন্ধীদের খাদ্য ও লেখাপড়া সেবা প্রদান সহ বহুবিদ সেবাপ্রদান নিশ্চিত করার প্রলোভনে এই প্রতারক চক্রটি ঈশ্বরদী থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে। শুধুতাই নয়, অফিসের ভাড়া পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারেনি তারা। এজন্য ভবন মালিক অফিসের আসবাবপত্রসহ যাবতীয় জিনিসপত্র জব্দ করে রেখেছে।
এবিষয়ে ‘ইসলামী লাইফ টাইম ফাউন্ডেশন’ এর হিসাব রক্ষক মোছাঃ আশা খাতুন পুরো বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি নিজেও নানামূখী প্রতারণার শিকার।