দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস। ভোটের বিপুল ব্যবধানের কারণে পাঞ্জাব আলীসহ এই আসনে পাঁচ প্রার্থীর জামানত খোয়া গেছে। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৩ ভোট।
ইসির উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে।
এই নির্বাচনে ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়া উপজেলায় মোটভোট পড়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৬টি। এর আট ভাগের এক ভাগ হলো ২৩ হাজার ৮৬৯.৫ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা পাবনার জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান কর্তৃক ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৫৩৩ ভোট, জাসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬০ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আতাউর হাসান গামছা প্রতীকে ৮২৬ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মনছুর রহমান আম প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮৭ ভোট। এ ক্ষেত্রে পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাতিল হচ্ছে।
লাকি সেভেন এমপি গালিব
পাবনা-৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া ) আসনের নৌকা প্রতীকে লাকি সেভেন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গালিবুর রহমান শরীফ। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এই আসনে এমপি হিসেবে টানা ৭ বার নির্বাচিত হলেন নৌকার প্রার্থী। ১৯৯৬ সাল থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা পাঁচবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। তার মৃত্যুর পর এই আসনে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর গত রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সপ্তম বারের মত এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ। সেই হিসেবে সপ্তম বার অর্থাৎ লাকি সেভেন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন গালিবুর রহমান শরীফ।