• আ.লীগের লক্ষ্য শতভাগ ভোটার উপস্থিতি • অনেক প্রার্থীকেই চেনে না ভোটাররা • শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাঞ্জাব বিশ্বাস কি থাকবে!
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ আগামী ১৮ ডিসেম্বর। পাবনা-৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া ) আসনে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ, জাসদের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী আতাউল হাসান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলায় বিশেষ করে আওয়ামী লীগের উপজেলা, অঙ্গ সংগঠন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি সভাতেই আলোচ্য বিষয় এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনের ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিটি ভোটারের কাছে একাধিকবার নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন অপেক্ষায় রয়েছে প্রতীক বরাদ্দের। প্রতীক বরাদ্দের পরে তারা ছুটবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার রাজনৈতিক চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে অদৃশ্য ভাবে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে একটি গ্রুপ থাকলেও এবার ভিন্ন চিত্র।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ স্মার্ট, ভদ্র এবং শিক্ষিত সে কারণে তার চিন্তা চেতনা ভিন্ন। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর পাবনা জেলার প্রতিটি আসনে মনোনয়ন প্রাপ্তদের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করেছে। কিন্তু পাবনা-৪ আসন গালিব শরীফ মনোনয়ন প্রাপ্তির পর ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় তার অনুসারীরা মনোনয়ন প্রাপ্তির আনন্দ মিছিল করেনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তার সুন্দর এবং সাবলীন বক্তব্যের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া দুই উপজেলার অদৃশ্য গ্রুপিং নিষ্পত্তি হয়েছে। সবাই এখন নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
অপরদিকে এই আসন থেকে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্যে দুই থেকে তিন জনকে ভোটাররা চিনলেও বাকিদের কে চিনেনা বা তাদের নামও কখনো শুনিনি। ফলে বোঝা যাচ্ছে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাবনা-৪ আসনের দ্বিমুখী নৌকা আর লাঙ্গল। কারণ পাবনা-৪ আসনে লাঙ্গলের সমর্থক রয়েছে। জয়লাভ করার মত ভোট ব্যাংক না থাকলেও লড়াই করার মত শক্ত অবস্থান রয়েছে। আবার ত্রিমুখী নৌকা, লাঙ্গল আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীকের লড়াইও হতে পাবে। সেই ক্ষেত্রে নৌকা, লাঙ্গল আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা পাঞ্জাব আলী বিশ্বাসের প্রতীক। পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস আওয়ামী লীগের ভোটে ভাগ বসাতে হবে। সেইক্ষেত্রে কতটুকু সফল হবে তাই এখন দেখার পালা। কারন পাবনা-৪ আসনের দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সকল কমিটি ৗক্যবন্ধ ভাবে কাজ করছে নৌকার পক্ষে। তার পক্ষে তৃনমূলের কোন কমিটিকেও দেখা যায়নি সমর্থন বা পক্ষে কথা বলতে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মাঠে এবং ভোটারদের মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস কি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সবমিলিয়ে দুই উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ বইছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, অফিস, বাজারসহ সর্বত্র এখন নির্বাচনী আলোচনা। নেতাকর্মীরাও অপেক্ষায় প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটারদের কাছে ছুটতে। এবার ভোটাররাও অপেক্ষায় আছে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার।