বুধবার , ৩০ আগস্ট ২০২৩ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে ‘আগাম অটো শিম’ চাষে লাভবান চাষিরা

প্রতিবেদক
আমাদের কৃষি রিপোর্ট :
আগস্ট ৩০, ২০২৩ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীর বাজারে উঠেছে আগাম জাতের অটো শিম। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আগাম উঠা এ শিম। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা খেকে ২০০ টাকা। ভাল দাম পাওয়ায় শিম চাষিরা খুশি হলেও নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তরা চড়া দামে অখুশি।

এসময় শিম উঠলে ভাল দাম পাওয়া যায়। তাই ঈশ্বরদীতে চাষ বেড়েছে আগাম জাতের শিম। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অটো শিম’। এ জাতের শিম চাষে এখানকার কৃষকরা প্রতিবারই লাভবান হন। এরই মধ্যে গাছে শিম ধরা শুরু হয়ে গেছে। শিম শীতকালীন সবজি হলেও এ এলাকায় ৮-১০ বছর ধরে আগাম জাতের শিমের আবাদ হচ্ছে। ভাদ্র মাসের শুরুর দিকে শিমের ফলন শুরু হয়।

প্রতি বছরই চাষিদের লাভ হয়। আগাম শিমের বাজারে চাহিদা বেশি থাকে দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে এ শিম উৎপাদনে চাষিদের খুবই পরিশ্রম করতে হয়। এ শিমের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া অতি বৃষ্টি ও অতি খরার কারণে শিমের ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকার পরই চাষিরা বাজারে উঠেছে নতুন এসব শিম।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীতে গত বছর শিমের আবাদ হয় ১১৩০ হেক্টর জমিতে। এবার শিমের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১১৯০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে মুলাডুলি ইউনিয়নেই ৮৫০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, অটো জাতের শিম গাছ এরই মধ্যে মাচায় উঠে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। তাই গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মুলাডুলি ইউনিয়নের কৃষকরা। এরিমধ্যে আগাম শিম বাজারে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝিতে আগাম শিম চাষ শুরু করেন চাষিরা। ভাদ্রের প্রথম দিকে বাজারে তোলা হয়।

জানা যায়, এক যুগ ধরে এখানে অটো শিমের আবাদ চলছে। ফলন ভালো ও কৃষকরা লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই আবাদ বাড়ছে। এ শিম চাষে প্রতিবছরই সফলতা পান এখানকার চাষিরা। শিম চাষকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে গড়ে উঠেছে বিশাল বাজারও।

মুলাডুলির বাঘহাচলা গ্রামের শিম চাষি আবেদ আলী বলেন, আগাম জাতের অটো শিম চাষ করে এখানকার কৃষকরা বেশ লাভবান হয়। গত বছর ১২ কাঠা জমিতে অটো শিমের আবাদ করেছিলাম। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে ৯০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আমার মতো অনেক কৃষক আগাম অটো শিমের আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন শিম গাছ ফুলে ফুলে ভরে গেছে। ফুল থেকে শিমের ফলনও শুরু হয়ে গেছে। শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে শিম বাজারে তুলতে পারলে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়।

বাঘহাচলা গ্রামের জামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে অটো শিমের আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। অন্য ফসলের চেয়ে শিমের আবাদে খরচ বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমির শিম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। বাজারে প্রথম যে শিমগুলো উঠে সেগুলোর দাম বেশি থাকে। প্রথম অবস্থায় ২০০ টাকা কেজি বা তার চেয়ে বেশি থাকে বিক্রি করা যায়।

কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, অটো-রূপবান-ঘৃত কাঞ্চন-রূপসী নামে আগাম জাতের শিম এখানে চাষাবাদ বেশি হয়। অটো জাতের শিম জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আবাদ শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, ঈশ্বরদীতে জ্যৈষ্ঠমাসের শুরুতেই আগাম জাতের শিমের আবাদ শুরু হয়েছিল। সেসব শিম গাছ ফুলে ভরে গিয়ে শিম উঠতে শুরু হয়ে গেছে। দেশের সবচেয়ে বেশি শিমের আবাদ হয় এ উপজেলায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে আগাম জাতের যে শিম পাওয়া যায় সেগুলো ঈশ্বরদীতে উৎপাদন হয়। সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করে কীভাবে আগাম শিম উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!