স্বামীর দেওয়া আগুনে’ দগ্ধ পাবনার ঈশ্বরদীর গৃহবধূ নিলুফা ইয়াসমিন হ্যাপি মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় মারা যান বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান।
তিনি বলেন, হ্যাপির মৃত্যুর পর প্রয়োজনীয় কাজ শেষে মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, গত ৮ মে ঈশ্বরদীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হ্যাপির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন তার স্বামী মো. রনি।
নিলুফার ভাই ফরহাদুল ইসলাম আকন্দ জানান, ঈশ্বরদীতে আগুন লাগানোর পর তার বোনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার শরীর ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর ঈশ্বরদী থানায় নিলুফার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয় রনি ও তার বন্ধু পলাশের নামে। পরে পুলিশ রনিকে গ্রেপ্তার করে।
রনি ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া বাজার এলাকার মো. রমজান সরদারের ছেলে। প্রায় তিন বছর আগে ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্রে তার সাথে নেত্রকোণার উলুকান্দার আব্দুল লতিফ আকন্দের মেয়ে হ্যাপির বিয়ে হয়।
হ্যাপির ভাই ফরহাদ বলেন, রনির এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে হ্যাপিকে বিয়ে করা নিয়েই শুরু হয় কলহ। বিয়ের পরে হ্যাপি জানতে পারে রনির আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর নিজের বাড়িতে হ্যাপিকে না নিয়ে রনি পাকশীর রূপপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকত। হ্যাপি চাইত রনির বাড়িতে থাকতে, এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রনির অনুমতি ছাড়া হ্যাপি তার বাড়িতে গেলে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রনি মারধর করতে করতে হ্যাপিকে আওতাপাড়া গরুর হাটে একটি চায়ের দোকানের সামনে এনে বন্ধু পলাশের সহায়তায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতে রনির সঙ্গে তার বন্ধুর নামও রয়েছে। রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার বন্ধুকে এখনো খোঁজা হচ্ছে বলেন ওসি।