খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে টিটিই পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করছিলেন এক যুবক। পরে তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকৃত টিটিইর কাছে ধরা পড়লে জরিমানাসহ টিকিটের মূল্য আদায় করা হয়।
ওই ভুয়া টিটিইর নাম সুলতান মোহাম্মদ। তিনি নিজেকে পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিলেও তার বাড়ি সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামে বলে জানা যায়।
সোমবার (৬ মার্চ) দিনগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
সুন্দরবন ট্রেনের কর্মরত ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মেহেদি হাসান বলেন, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার পর যাত্রীদের টিকিট চেক করা শুরু করি। একপর্যায়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ঘ বগিতে সুলতান মোহাম্মদ নামে এক যাত্রীর কাছে টিকিট দেখতে চাইলে তিন নিজেকে রেলের স্টাফ দাবি করেন। কোন পদে চাকরি করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিটিই পদে ঢাকা কমলাপুর হেডকোয়াটারে কর্মরত আছি। তার আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি শুরু হলে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি টিটিই নন।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাত বছরের একটি মেয়ে ছিল। কথাকাটাকাটি ও পুলিশের উপস্থিতি দেখে মেয়েটি কান্না করতে থাকে। ভুয়া পরিচয় দেওয়ায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বললে অন্য যাত্রীরা মেয়েটির কান্না দেখে তার বাবাকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। যাত্রীদের অনুরোধে তাকে ভাড়াসহ ১০০ টাকা জরিমানা করে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চাটমোহর স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। শিশুটির কান্না দেখে যাত্রীদের অনুরোধে টিটিই মেহেদি হাসান জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে তাকে চাটমোহর স্টেশনে নামিয়ে দিয়েছেন।