ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে গুলি করে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আনোয়ার উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ জানুয়ারী) বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়া এলাকা থেকে পলাতক আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বুধবার রাত দশটায় জানান, হত্যার পর হতেই আনোয়রকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিশেষ অভিযানে নামে। বুধবার আড়মবাড়িয়া এলাকা হতে বিশেষ কৌশল খাটিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আনোয়ার উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামী ইব্রাহিমও খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হবে বলে জানান তিনি।
আনোয়ার উদ্দিনের বড় ভাই কামাল উদ্দিন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হওয়ার কারণে আনোয়ার যুবলীগের সদস্য না হয়েও এলাকায় যুবলীগ পরিচয়ে চলাফেরা করতো।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৪ জানুয়ারী) রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কড়ইতলায় যাত্রীবাহী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ঠ কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন আনোয়ার উদ্দিন। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন নিহত হয়। আহত হয় রকি (২৬) ও সুমন (২৫) । আহতরা ঢাকা ও রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটককৃত কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে তার ভাই আনোয়ার উদ্দিন, ভাতিজা হৃদয় হোসেন এবং ইব্রাহিমকে নামীয় এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুরে শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন এবং ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।