সবেমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন আবু সাঈদ (১৮)। পরিবারে অনেকটা অভাব অনটন বলে পড়াশোনার পাশাপাশি কর্ম করছেন, ধরেছেন সংসারের হাল।
এখন তালের শাঁস বিক্রির টাকায় চলছে সাঈদের সংসার আর লেখাপড়ার খরচ। আবু সাঈদ ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে অনার্সে চলতি বছর ভর্তি হবেন।
ঈশ্বরদী শহরের স্টেশন রোডের ফকিরবাড়ির সামনে বটতলায় দাঁড়িয়ে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেল আবু সাঈদকে।
জৈষ্ঠ্যমাস মধু মাস। মধুমাসে হাট-বাজার জুড়ে থাকে না ফলের সমারোহ। তাই এখন বাজারে মিলছে নরম নরম তালকোড় তালের শাঁস। অনেকের মতো মৌসুমি ব্যবসাটি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
মধুমাসে সুস্বাদু কচি তালের শাঁস বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও বলে ‘তালকোড়’, কোথাও বলে ‘তালখুর’।
তালের শাঁস বিক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, এবছর অনার্সে ভর্তি হবো। পরিবারে বেশ অভাব। প্রতিবছর গ্রামের কিছু তালগাছ কিনে এই ব্যবসা করি। প্রতিগাছের দাম ৩/৪শ টাকা। একটি গাছে কয়েকশ তাল মেলে। প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়। এতে সারাদিনে ৫/৭শ’ টাকার মতো আয় হয়। গোটা জৈষ্ঠ্যমাস ব্যবসা করলে যে আয় হয়, এতে পরিবারে কিছুটা জোগান হয়, আবার লেখাপড়ার খরচও আসে।