ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু ইউনিট। এ ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়াদের বেশির ভাগই নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই দুই একজন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসতে থাকে। ৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে আলাদা ইউনিট খোলা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ রোগী এ ইউনিট থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮ রোগী। তারা সবাই রূপপুর প্রকল্পের নির্মাণ শ্রমিক।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেস্ট রোসেম কোম্পানির শ্রমিক জীবন হোসেন (২৩) জানান, তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। আমার জানা মতে গত ১৫ দিনে এ সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।
রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফোন করে জানানো হয় রূপপুর প্রকল্পের চার পাঁচজন শ্রমিক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সম্প্রতি পাবনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডেঙ্গুর লাভা শনাক্তের জন্য রূপপুর গ্রিনসিটি এলাকায় একটি টিম এসেছিল।
এ বিষয়ে রূপপুর প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুতে যেন শ্রমিকরা আক্রান্ত না হয় সেজন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। যাদের হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। আমরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।