শুক্রবার , ১৯ আগস্ট ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

রোপা আমন চাষ : ঈশ্বরদীতে ইউরিয়ায় অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে অর্ধকোটি টাকা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
আগস্ট ১৯, ২০২২ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
রোপা আমন চাষ : ঈশ্বরদীতে ইউরিয়ায় অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে অর্ধকোটি টাকা

ঈশ্বরদীতে এবার রোপা আমন চাষে কৃষকদের ইউরিয়া সার কিনতে অতিরিক্ত অর্ধকোটি টাকা খরচ পড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ইউরিয়ার দাম বাড়ায় কৃষকদের এই বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে রোপা আমনের আবাদও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮ হাজার ৩৫০ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ হবে এবার। এ ছাড়া শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আরও ৩ হাজার ৫৩২ হেক্টর জমি।

হিসাব অনুযায়ী আমনের প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ১৬ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয়। সেই হিসাবে উপজেলায় এবার ৭ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ কেজি ইউরিয়া সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে কৃষকদের। আগের ১৬ টাকা কেজি দাম অনুযায়ী ইউরিয়া কিনতে কৃষকদের মোট খরচ পড়ত ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু দাম বেড়ে ২২ টাকা হওয়ায় এখন কিনতে হচ্ছে ১ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ আগের তুলনায় কৃষকদের ৪৪ লাখ ২২ হাজার টাকা বেশি খরচ পড়বে ইউরিয়াতে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউরিয়া ও ডিজেল দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। জমিতে সেচ, সম্পূরক সেচ, শ্রমিকের মজুরি দিতে তাঁদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদনে সম্ভাব্য খরচ বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ। অনেকে আবার অতিরিক্ত খরচের আশঙ্কায় আমন আবাদ বাদ রেখে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।

শহরের উমিরপুর গ্রামের কৃষক আতাউল মালিথা বলেন, তিনি ১০ বিঘায় আমন ধানের চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু ইউরিয়ার দাম বেশি হওয়ায় তাঁকে খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগের তুলনায় ৩ হাজার টাকা বেশিতে ইউরিয়া কিনতে হয়েছে।

উপজেলার সাঁড়ার কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, তিনি এলাকায় জমি ইজারা নিয়েছিলেন রোপা আমন রোপণের জন্য। কিন্তু ইউরিয়া ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি এখন ধানের পরিবর্তে অন্য ফসল আবাদ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকেরা এবার সংকটের মধ্যে রয়েছেন। নানা সংকটের কারণে তাঁদের অনেকে আমনের পরিবর্তে অন্য ফসলের দিকে ছুটছেন। এ অবস্থায় এবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ