ঈশ্বরদীতে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুণ্ডলিয়া গ্রামের নাছিরের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মৃত উকিল উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে পিন্টু প্রামাণিক (৪০), শরিফ প্রামাণিক (৩৮), মৃত গনি মালিথার ছেলে ছালাম মালিথা (৩২), সেলিম মালিথা (৩৫), মৃত মন্টু প্রামাণিকের ছেলে নাজমুল প্রামাণিক (৩৩), কারিবুল প্রামাণিক (৩৫), মৃত আক্কাস আলীর ছেলে রানা প্রামাণিক (৩৩), আরিফুল ইসলাম (২৭), রাকিব কামার (৩২)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, উপজেলার চরগড়গড়ি আলহাজ মোড়ের দৈনিক হাটের ইজারা পান চরকুরুলিয়ার আবদুল্লাহ আল কাফি। অপরদিকে চরগড়গড়ি মাদরাসা মোড় হাটের ইজারা পান একই গ্রামের গোলাম সারোয়ার। দৈনিক হাট ও সাপ্তাহিক হাটের ইজারা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় চরকুরুলিয়ার নাছিরের ঘাটে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের পাবনা সদর হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন
ঈশ্বরদীর থানা পুলিশর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাটবাজারের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় গোলাগুলি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস জানান, হাটের ইজারা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যায় দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি।