ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো রাহুল হাসান সাব্বির (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নলগাড়ি ৪ নম্বর ব্লকের পদ্মার ক্যানেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের সাগর হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে রূপপুরে নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। রূপপুর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের মানবিক বিভাগের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল সে।
নিহত স্কুলছাত্রের দাদা আব্দুল বারী জানান, সলিমপুর ইউনিয়ন থেকে স্কুল দূরে হয় বলে সাব্বির পাকশীর রূপপুরে নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো।
জানা গেছে, সাব্বির তার বন্ধুদের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নলগাড়ি গ্রামের ৪ নম্বর ব্লকে পদ্মার ক্যানেলের নতুন পানিতে গোসল করতে যায়। পানির গভীরতা থাকার কারণে পদ্মার চোরাবালিতে সাব্বিরসহ তার দুই বন্ধু ডুবে যায়। এ সময় অপর এক বন্ধু তাদের না দেখতে পেয়ে পানিতে নেমে প্রথমে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোনো খোঁজ না পেয়ে আশেপাশের স্বজনদের খবর দেয়।
পরে স্বজনরা পানিতে নেমে দুই জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সাব্বিরকে তখনও খুঁজে না পাওয়ায় ৯৯৯ ফোন করে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। এ সময় সাব্বিরকে নড়াচড়া করতে দেখা যায়। কিন্তু ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে এসএসসি পরিক্ষার্থী সাব্বিরের মৃত্যুর খবর চারিদিকে চাওর হলে স্বজন-সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা বার বার মূচ্ছা যাচ্ছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, রূপপুরে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। মরদেহ উদ্ধার করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় সাধারন ডায়েরী নথিভুক্ত হয়েছে।