ঈশ্বরদী উপজেলা-পৌর ছাত্রলীগের কাউন্সিল না করে ‘পকেট কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে ও তা বাতিলের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল। ৫ এপ্রিল বিকেল।
ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কাউন্সিল না করে ‘পকেট কমিটি’ গঠনের প্রতিবাদে ও তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্তত ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন।
ছাত্রলীগের দু-একজন নেতা-কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আগের কমিটি বিলুপ্ত না করেই উপজেলার সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে রাতের আঁধারে ওই পকেট কমিটি গঠিত হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা সদরের স্টেশন রোড থেকে আজ বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওন। বক্তব্য দেন আশিক হায়দার বিশাল, নাহিদ ইসলাম ও রাতুল ইসলাম প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপজেলা-পৌর নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময়কে কমিটির সভাপতি ও খন্দকার আরমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আবির হোসেন শৈশবকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও মারুফ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করে নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হতবাক হয়েছেন। তাই ক্ষুব্ধ হয়েই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন তাঁরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওন।
বক্তারা বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা-পৌর ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে এই পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন, যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী এবং অবৈধ। অযাচিত লোকজন দিয়ে এই কমিটি গঠনের ফলে সংগঠনের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম শাওন বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে গঠিত এমন পকেট কমিটি ছাত্রলীগ চায় না। দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি নবগঠিত কমিটিকে প্রতিহত করা হবে।