আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক ৪০টি লোকোমোটিভ রেল ইঞ্জিন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্রডগেজ রেললাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য আনা হচ্ছে। ৬৬ সিরিজের নতুন ১৬টি ইঞ্জিনের সবগুলোই ব্রডগেজ লাইনের জন্য।
পর্যায়ক্রমে প্রতিটি নতুন ইঞ্জিনগুলো যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তখন পুরোনো ৬৫ সিরিজের ইঞ্জিনগুলো দিয়ে মালবাহী ট্রেন চালানো হবে। এতে মালবাহী ট্রেন কম সময়ে চলাচল করানো সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের আওতায় ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে বিকেলে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে’ সংযুক্ত নতুন ইঞ্জিনটি প্রথমবারের মতো খুলনার দিকে ছেড়ে গেছে।
এর আগে ওই দিন দুপুরে ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা থেকে চালিয়ে নিয়ে রাজশাহী যান লোকো মাস্টার তৌহিদুল ইসলাম।
আমেরিকার তৈরি ৩,৩০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিনটির চালক কক্ষে এসি সংযুক্ত রয়েছে। ইঞ্জিনটির সামনে ও পেছনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, একই সঙ্গে রাতে আলোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি লাইট। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার। যদিও বাংলাদেশে রেল লাইনের গড় গতিসীমায় তুলনায় এই গতিতে ট্রেন চলবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা, আনোয়ার হোসেন জানান, ইতোমধ্যে আটটি ইঞ্জিন ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা, লোকোশেডে পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আটটি ইঞ্জিন যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে সংযোজন করা হবে হবে। নতুন ৬৬ সিরিজ ইঞ্জিনগুলো যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে সংযোজন করা হলে, দ্রত ও কম সময়ে ট্রেনগুলো চলাচল করতে পারবে। আরও গতিশীলতা আসবে।
ডিটিও আনোয়ার হোসেন আরও জানান, আটটি ইঞ্জিন ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা লোকোশেডে পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী কপোতাক্ষ ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন প্রথমবারের মতো সংযুক্ত করা হয়েছে। ১৪০ কিলোমিটার গতিতে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস চালানোর কথা রয়েছে।