ধেয়ে আসছে চলন্ত ট্রেন। এর মাঝেই ঈশ্বরদী রেল গেটের ফাঁক গলে চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ায় লাইন পার হচ্ছেন এক পথচারী।
হাসান মাহমুদ : ঈশ্বরদীর ব্যস্ততম পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় দোকানে দাড়িয়ে পান কিনছিলেন তিনি। দুরন্ত গতিতে এগিয়ে আসছে ছুটন্ত ট্রেন। পান মুখে দিয়ে হয়তো তার মনে হলো লাইনের ওপারে যেতে হবে। ওপারেই সকল সুখ হয়তো তাহার বিশ্বাস ছিল।
যেই ভাবনা সেই কাজ। রেলগেটের ফাঁকগলে ঢুকে শুরু করলেন দৌড়। সেকেন্ডের ব্যবধানে গতিময় ট্রেন হেরে গেলো লুঙ্গি পরা গতি দানবের কাছে। কিসের উসাইন বোল্ট? সে কি জানে এ খবর?
আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন প্রতিভা। এসব দৌড়বিদরা যে কোনো মুহুর্তেই হুট করে দৌড় শুরু করতে পারে। উদাহরন রয়েছে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
আসলেই সময়ের সঠিক মুল্যায়ন করেছেন তিনি। কি দারুন টাইমিং রে ভাই। সবাই বলে উঠলো অল্পের জন্য কাটায় কাটায় জিতে গেলেন লুঙ্গি আর সেন্ডেল পায়ে বাংলার গতি দানব।
অনেকেই বলবেন সময়ের চেয়ে জীবনের মুল্য বেশি। তাই অনেকেই আবার জীবনকে সাজিয়ে তুলতে জীবনের অর্ধেকেরর বেশি সময় রাস্তায় ব্যয় করতে উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত নগরী ঈশ্বরদীতে বসবাস করেন। আর যানজটে বসে সাপ্তাহিক আমাদের ঈশ্বরদী অনলাইনে এই ছবি দেখে অবাক হয়ে বলেন- শালা, পাগল নাকি?
এদিকে আমি ক্যামেরার লেন্স পরিস্কার করতে করতে ভাবি। আরো কত পাগলের ছবি তুলতে হবে, আরো কত পাগল যেন দেখে গালি দিতে পারে পাগল বলে।
এদেশের দরবারে দরবারে সব পাগলের খেলা। কাকে ছেড়ে কার ছবি তুলবো, এ দেখি সব পাগলের মেলা!