আবারও ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি ) ভোরে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মেহেদী মাছুম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে রূপপুরে বিদেশিদের জন্য নির্মিত সাহাপুরের নতুনহাট ‘গ্রিনসিটি’ আবাসিক প্রকল্পের বহুতল ভবনের ভেতরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত সপ্তাহে দুদিনের ব্যবধানে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয় এই আবাসিক ভবনে।
মৃত্যু সম্পর্কে পুলিশ বলছে, মৃত দুই রুশ নাগরিকের মধ্যে একজন মদ্যপ অবস্থায় সিঁড়ি থেকে পড়ে এবং অপরজন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রেস্ট রোসেম নামে রুশ সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রুশ নাগরিক চুকিন পাভেল (৪৮) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাঁকে গ্রিনসিটি আবাসিক থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রাত ২টার দিকে তলমাসেফ ভাইয়াসেলভের (৫৯) নামের এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। তিনি ১২ নম্বর আবাসিক ভবনের ১৩ তলার ১৩১ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের এস এম ইউ-১ নামে আরেকটি সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইন্সটলার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় হাঁটার সময় হঠাৎ ১৪ তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে অজ্ঞান হন। পরে কোম্পানির নিজস্ব ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে দুজনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই মেহেদী মাছুম বলেন, দুজনের মধ্যে এক রুশ নাগরিক মদ্যপ অবস্থায় ও অপরজন হৃদ্রোগে আক্রান্ত মারা গেছেন বলে জেনেছি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দূতাবাসের মাধ্যমে নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।