রেলওয়ে পূর্বে অন্ধকারে ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রেলওয়েকে অন্ধকার থেকে বের করে জনবান্ধব করতে আরাম দায়ক, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করে গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনকে আধুনিকায়ন করা হবে। এই স্টেশনে নির্মাণ করা হবে আইসিটি সেন্টার।
আজ শুক্রবার দুপুরে পাকশীতে রেলওয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য স্থাপন করা রেললাইনের কাজ পরিদর্শনকালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলসচিব সেলিম রেজা এসব কথা বলেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না ও সাধারণ সম্পাদক এ এ আজাদ হান্নান ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে আন্তনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি প্রদান, পুনরায় ঈশ্বরদী ঢাকার মধ্যে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুকরণসহ পাঁচটি দাবি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রধান করেন।
এ সময় এডিজি আই কামরুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, পশ্চিমাঞ্চল রেলেওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডেন্ট আসাবুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী/২ আব্দুর রহিম, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশিষ কুমার মন্ডল, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমাডেন্ট মোর্শেদ আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ সচিব সেলিম রেজা সাংবাদিকদের সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে ঈশ্বরদী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কারণে বিশ্বের বুকে ঈশ্বরদী ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এ কারণে ঈশ্বরদীতে অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। রেলপথ সচিব আন্তনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে এসে ঈশ্বরদী স্টেশনে আসেন।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, রেলপথ সচিব সেলিম রেজা শনিবার সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
আরো পড়ুন-
রূপপুরের কারণে গোটা বিশ্ব আজ ঈশ্বরদীকে চেনে : রেলসচিব