আমাদের গ্রাম সবুজ শ্যামল শস্যের উর্বরভূমি। এই এলাকায় কোনো নেতা ছিল না। এই গ্লানি আজ দূর হয়েছে। আমরা পেয়েছি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক-এভাবেই আবেগে আপ্লুত হয়ে বক্তব্যে বলছিলেন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ওসাকার পরিচালক মাজহারুল ইসলাম।
আজ শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিন্টুকে নিজ গ্রাম ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়–লিয়া স্কুলমাঠে স্মরণকালের বিরল এক গণসংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর পক্ষ্যে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ আলহাজ কাইয়ুম প্রামানিক বলেন, মনিরুজ্জামান পিন্টু আমাদের গর্ব। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিকট আর্শীবাদ হিসেবে পাঠিয়েছেন।
পল্লী চিকিৎসক মাসুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আদরের সন্তান মনিরুজ্জামান পিন্টুকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক নির্বাচিত করে আমাদের গ্রামবাসীকে গর্বিত করেছেন।
বয়োজ্যেষ্ঠ রমজান আলী, আব্দুস সাত্তার মালিথা, আসাদুল প্রামানিক, আলহাজ মবর প্রামানিক ও জব্বার মল্লিক বলেন, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান পিন্টু আমাদের নিকট একটি ফুটন্ত গোলাপ। আমরা এই গোলাপকে যথাযথ মর্যাদায় লালন পালন করতেই এই গণ সংবর্ধনার আয়োজন করেছি।
সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ রোকনুজ্জামান শিহাব বলেন, এই অঞ্চলের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিন্টুর আগমণে গ্রামবাসী উদ্ভাসিত জনতায় পরিণত হয়েছেন।
সংবর্ধনার আয়োজকদের মধ্যে আব্দুল্লাহিল আল কাফী বলেন, আমাদের গ্রামের ছেলে মনিরুজ্জামান পিন্টু বড় হচ্ছে। আমরা সবাই গর্বিত।
গ্রামবাসীর পক্ষ্যে আয়োজনে বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান ভোলা, শাহিনুর রহমান, রুহুল আমিনসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিন্টু ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে পৌঁছলে গ্রামবাসীর পক্ষ্যে কয়েক হাজার মানুষ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরণের পরিবহন নিয়ে রিসিভশন দিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিকেলে সাড়ে ৪ টায় সভামঞ্চে আসেন। এরপর জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিন্টু ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।