বুধবার , ২৫ মে ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে লোকসানে পোলট্রি খামারিরা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৫, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে লোকসানে পোলট্রি খামারিরা

পোল্ট্রি খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কয়েকশো পোল্ট্রি খামারি লোকসানে পড়েছেন। গত বছরের করোনার ধাক্কা সামাল দিতে অনেকেই ঋণ করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আরো বিপাকে পড়েছেন। অনেক পোল্ট্রি খামারি এ ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশাতে চলে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে উপজেলার পোল্ট্রি খামারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বছর দুয়েক আগেও যেসকল পোল্ট্রি খামার বড় ছিলো সেগুলো ছোট করে ফেলেছেন খামারিরা। অনেকেই পোল্ট্রি খামারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। অনেকে অন্য পেশাতে না যেতে পেরে এখনো লোকসান গুনছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলায় ৩৫২টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারে লেয়ার মুরগির সংখ্যা পাঁচ লাখের উপরে। সোনালি মুরগির খামার রয়েছে ৩০২টি যেখানে মুরগীর সংখ্যা দেড় লাখের মত। এবং ব্রয়ালার মুরগির খামার ২০৮টি যাতে মুরগীর সংখ্যা দুই লাখ।

দাশুড়িয়া এলাকার খামারি শাকিল হোসেন বলেন , আমার তিন হাজার মুরগীর সেড আছে। প্রতিটি মুরগি মাসে ২২ থেকে ২৫টি ডিম দেয়। প্রতি ডিম ৬ থেকে ৭ টাকা বিক্রি করতে হয়। তিনি আরও বলেন, একটি ডিম উৎপাদন করতে বর্তমানে বিদ্যুৎ, লেবার ও খাবারসহ খরচ হচ্ছে প্রায় ৯ টাকা। ডিমের উৎপাদন ভালো হলেও খাবারের দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের লেয়ার মুরগির খামারি মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমার বর্তমানে দুই হাজার লেয়ার মুরগীর বাচ্চা রয়েছে। এ বাচ্চা ডিম পাড়ার উপযোগি হতে প্রতি মুরগী প্রতি খরচ হবে ৭০০ থেকে সাড়ে সাতশ টাকা। মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনমাস আগেও ফিডের বস্তা প্রতি দাম ছিল ২১৭০ টাকা যা বর্তমানে বেড়ে ২৪৯০ টাকা। চলতি বছর প্রতি বস্তায় গুণতে হচ্ছে ৩২০ টাকার বেশি ।

একই এলাকার মুরগির খামারি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আমার খামারে এক হাজার একশত লেয়ার মুরগি রয়েছে। প্রতিটি মুরগির জন্য খাবার বাবদ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা খরচ হয় মাসে। ৪ থেকে ৫ বছর আগেও খাবারের মূল্য এক হাজার দুইশত টাকা ছিলো বস্তা প্রতি। খামারিদের ডিলারদের কাছ থেকে খাবার কিনতে হয়। এখানে অনেক সময় সিন্ডিকেট কাজ করে। এদিকে বাজারে ডিম বিক্রি করতে গেলে কম দাম পাওয়া যায়। অথচ ডিম কিনতে গেলেই দাম বেড়ে যায়। ডিমের যে সঠিক মূল্য রয়েছে তা পাচ্ছি না। কেউ লোকসানের মুখে পরে জমি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছে।

উপজেলার বেশিরভাগ খামারি বলেন, কাঁচামালের ভ্যাট কমিয়ে আনাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল পোল্ট্রি খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিকভাবে নজরদারি করলে হয়তো তারা উপকৃত হবেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, সারা দেশেই একই অবস্থা, ফিডের দাম বৃদ্ধিতে খামারিদের লাভটা কমে গেছে। খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এটা সত্যি। তিনি আরও বলেন, সরকার ফিডের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে খামারীদের অনুদান প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ