বিয়ে না দেয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে হৃদয় হোসেন (১৮) নামের এক যুবক। হৃদয় হোসেন ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের দুলালের হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বসতঘরের চালার ডাবের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হৃদয়ের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হৃদয় বিয়ে করতে চাইতো। প্রায়ই এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি করতো। কিন্তু নিদিষ্ট কর্ম ও বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে বিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার রাতে হৃদয়ের কোন সাঁড়া শব্দ না পেয়ে তাকে ডাকাডাকি করলে সে কোন কথা না বলায় প্রতিবেশিদের ডেকে এনে দরজা ভেঙ্গে দেখি হৃদয়ের দেহ চালার ডাবের সঙ্গে ঝুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হোসেন জানান, হৃদয় প্রায়ই বিয়ে করার জন্য বাবা মায়েকে বলতেন। একাধিকবার এ নিয়ে পারিবারিকভাবে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। প্রায় তিন মাসে আগে বিয়ের দাবিতে হৃদয় বিষপান করেছিলেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায় সে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন।
মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) বানেছ আলী প্রামানিক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পেলাম ছেলেটি বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না। ছেলেটিও নিদিষ্ট কর্ম নেই। তাই ছেলের বাবা বলেছিল কিছুদিন পরে বিয়ে দিবে কিন্তু ছেলে না শুনে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।