৩০ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ‘ফরমায়েশি’ রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর মুক্তির আশায় বুক বেঁধেছেন স্বজনরা। রায়ে স্থানীয় বিএনপির মোট ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাবন্দিদের স্বজনদের দাবি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় এসব নেতাকর্মীসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তির আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ও সংসদ ভেঙে দেওয়ায় তাঁরা নতুন করে প্রিয়জনদের মুক্তির আশায় বুক বেঁধেছেন।
পরিবারগুলোর দাবি, ওই মামলাটি ছিল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রায়টিও ছিল সরকারের ফরমায়েশি রায়। বর্তমানে ছাত্র-জনতার সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যাতনে ও গায়েবি মিথ্যা কাল্পনিক মামলায় কারাবন্দি থাকা সবাইকে এই সরকার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর ছোট ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘খুনি ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ফরমায়েশি রায়ে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় তাঁদের অভিভাবক বড় ভাইকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁরা অভিভাবক শূন্য হয়ে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন। স্বৈরাচার সরকারের পতনের কারণে কারাবন্দি সবাই মুক্তি পাবেন।’
দণ্ডপ্রাপ্ত পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলুর স্ত্রী সেলিনা রহমান শিউলি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।
একটি সাজানো মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে আমরা নতুন জীবন ফিরে পেতে যাচ্ছি।’