রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেছেন, বিগত সরকারের সময় রেলওয়ের উন্নয়ন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আর রেলবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুমন্ত এই রেলকে দৃশ্যমান উন্নয়নে জাগিয়ে তোলা হয়েছে।
আমরা চাই, ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ট্রেন ভ্রমণ স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও নিরাপদ হোক। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর ঈশ্বরদী জংশন রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, ঈশ্বরদী এখন আর শুধু বাংলাদেশের না, রূপপুরের কারণে গোটা বিশ্ব আজ ঈশ্বরদীকে চেনে। আমি মনে করি ঈশ্বরদীবাসী তো বেশ সৌভাগ্যবান। আমি রাশিয়া গিয়েছিলাম, সেখানকার যে অ্যাম্বাসেডর রয়েছে, বাংলাদেশের কোনো জায়গা তিনি চেনেন না, কিন্তু তিনি রূপপুর ও ঈশ্বরদীকে চেনেন।
তিনি আরো বলেন, সত্যিই ঈশ্বরদী বিশ্বের মানুষের কাছে এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে। এখানে আমার নজর না দেওয়ার কিছু নেই। ব্রিটিশ আমলের সময় যখন রেল সৃষ্টি হয়েছে তখনকার সময়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন। শতবর্ষের পুরোনা রেল জংশন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন এরকমভাবে থাকবে না, অচিরেই ঈশ্বরদী জংশনকে একটি আধুনিক জংশন স্টেশনে রূপান্তরিত করা হবে। আর পাবনা-ঢাকা রেলরুটে অচিরেই আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে। আমরা কাজ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প কর্মকর্তা আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম। পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম প্রমুখ। এছাড়াও রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনা অভিমুখী আন্তঃনগর ৭২৬ নাম্বার ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলরুটের জামতৈল, উল্লাপাড়া, বড়ালব্রিজ, চাটমোহর স্টেশনে বিভিন্ন সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।
এছাড়া শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন। রাতে তিনি পাকশীতে রাত্রি যাপন করবেন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলওয়ে পশ্চিম জোনে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। দুপুরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাকশী ট্রেন কন্ট্রোল অফিস, পাকশীর অনন্যা স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণ করা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন শেষে বিকেলে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রাজশাহী থেকে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে পাবনার কাশিনাথপুরের নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলমান কোভিট-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে পাবনার কাজিরহাট-বেড়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করে আরিচাঘাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।