বুধবার , ১৯ জুলাই ২০২৩ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে নাতনীদের অত্যাচারে বৃদ্ধ দাদীর আত্মহত্যা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ১৯, ২০২৩ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে নাতনীদের অত্যাচারে বৃদ্ধ দাদীর আত্মহত্যা

স্বামীর অত্যাচারে সংসার ছেড়েছিলেন প্রায় ২২ বছর আগে। দুই ছেলে আর তিন মেয়েকে লালন পালন করে বিয়েও দিয়েছেন ধান চাতালের দিন মজুর রোকেয়া বেগম (৬০)। সংসার জীবনে ছেলে মেয়েরা সুখী হলেও সুখ ছিলোনা কেবল রোকেয়ার জীবনে। ছেলের বউ আর নাতনীদের অত্যাচারের মধ্য দিয়েই কাটত বৃদ্ধা রোকেয়ার দৈনন্দিন জীবন।

তারই ধারাবাহিকতায়
মঙ্গলবার( ১৮ জুলাই) দুপুরে ছোট ছেলে হেলালের ২ মেয়ে উর্মি খাতুন (১৭) এবং হালিমা খাতুন (১২) বৃদ্ধা রোকেয়াকে মারধর করেন। সেই আঘাতের অভিমান সইতে না পেরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন রোকেয়া বেগম।
ঘটনাটি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুরইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথাল পাড়া গ্রামে ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানাযায়, বাড়ির আঙ্গিনার ময়লা পরিস্কারকে কেন্দ্র করে উর্মি এবং হালিমার মধ্যে বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। সেই বিতন্ডা নিরসনে ভিকটিম রোকেয়া এগিয়ে আসেন এবং সমাধানের চেষ্টা করতে থাকেন। তারই এক পর্যায়ে উর্মি এবং হালিমা বৃদ্ধ দাদির উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করেন। বিষয়টি ছেলেরা জানতে পেরেও তাদের সন্তানদের কোন প্রকার শাসন না করায় মানুষিক ভাবে যন্ত্রনা বোধ করেন রোকেয়া। সেই যন্ত্রনা সইতে না পেরে কাউকে কিছু না বলে বড় মেয়েদের সাথে শেষ দেখা করার জন্য ঈশ্বরদীতে বড় যান ভিকটিম। সেখানে কিছুসময় থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে ফিরেই সকলের অগোচরে ইঁদুর মারা গ্যাস ট্যাবলেট খান তিনি।

ভিকটিমের বড় ছেলের বউ রঞ্জনা এবং নাতি হৃদয় রোকেয়াকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তার মাথায় পানি ঢালতে থাকেন। এসময় শ্বাশুড়ির মুখ থেকে বিষের গন্ধ পেয়ে রিমার সহযোগীতায় তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোকেয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকের কলেজে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাজশাহী যাওয়ার পথিমধ্যেই রোকেয়ার মৃত্যু হয়।

রোকেয়ার মেজ মেয়ে রিমা জানান, গ্যাস বড়ি খাওয়ার পর মা আমাকে মোবাইলে তার কাছে রাখা কিছু টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সন্ধান দিয়ে বিদায় নেন। তবে মায়ের কথাতে কিছুটা সন্দেহ হলে আমি দ্রুত মায়ের বাড়িতে চলে আসি। এসে দেখি আমার মা অচেতন হয়ে একাই পড়ে আছে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আমরা রোকেয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ