কালো কুচকুচে গায়ের রং, উচ্চতা ৬ ফুট আর লম্বায় ১০ ফুট। ৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতির খাবার খাইয়ে লালনপালন করা হয়েছে তাকে। নাম তার ‘পাবনার পাগলা রাজা’। পশুর হাট কাঁপাতে আসছে সে। গরুর মালিকের দাবি এটিই উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। প্রায় ৩৯ মণ ওজনের এই ষাঁড় গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে গরুটি কিনতে দরদাম করছেন পাইকাররা।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের খামারি রেজাউল করিম। শখের বসে প্রায় ৫ বছর আগে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে হলস্টেইন জাতের একটি বাছুর কিনে লালনপালন শুরু করেন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালনপালন করা ঐ বাছুর এক বছর যেতে না যেতেই চোখে পড়ার মতো একটি ষাঁড়ে পরিণত হয়। নাম রাখেন ‘পাবনার পাগলা রাজা’।
গরুর মালিক রেজাউল করিম বলেন, ভুট্টা, জব, কাঁচা ঘাস, কালাইয়ের ভুসি, গমের ভুসি এবং ধানের খড় খাইয়ের বড় করেন ষাঁড় গরুকে। বর্তমানে যার ওজন দাবি করা হচ্ছে ৩৯ মণ। দাম হাঁকা হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ব্যাপারী ও পাইকাররা আসছেন গরুটি কিনতে। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে। উপযুক্ত দাম পেলে বিক্রি করার আশা তার।
প্রায় ৫ বছর ধরে গরুটি লালনপালন করতে গিয়ে মায়া জন্মেছে খামারী রেজাউলের স্ত্রীর। এখন বিক্রি করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত তিনি।
গরুর মালিক রেজাউলের স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, ৪ বছর ৮ মাস গরুটিকে লালনপালন করেছেন তিনি। সামনে কোরবানির ঈদ গরুটিকে বিক্রি করে দিতে হবে। বিক্রি হলে খুব কষ্ট হবে তবুও বিক্রি করে দিতে হবে।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন বলেন, জেলায় অনেক খামারি এমন গরু কোরবানির জন্য তৈরি করেছেন। অনেকের বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এবার গরুর যে বাজার রয়েছে এতে খামারিরা বেশ লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
খামারি রেজাউল পাবনার পাগলা রাজাকে বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও স্থানীয়দের।